খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে ‘বিষ খেয়ে আত্মহত্যা’ করতে চাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ময়মনসিংহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ। মূলত স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় এলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেঁচে থেকে কোনও লাভ নেই—আক্ষেপ করে এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
এমন বক্তব্যের কারণ জানতে চাইলে রবিবার (২৮ মে) বিকালে এই ব্যাখ্যা দেন সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় গিয়ে আমাকে পতাকা দেখাবে, চোখের সামনে গাড়িতে পতাকা ওড়াবে। তাদের সম্মান করতে হবে এবং স্যালুট দিতে হবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা, এত রক্ত এবং মা-বোনের আত্মদান বৃথা হয়ে যাবে।’
স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় গেলে আমার মতো মুক্তিযোদ্ধাদের মুখ লুকানোর জায়গা থাকবে না উল্লেখ করে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘আমার হাতে তো এখন আর অস্ত্র নেই। তাদের অপকর্ম কীভাবে মোকাবিলা করবো। এমন পরিস্থিতিতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না বলে আক্ষেপ করেছি।’
এই হাতে অস্ত্র ধরেছিলাম, দেশ স্বাধীন করেছিলাম উল্লেখ করে নাজিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘যদি আবারও স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসে, তাহলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেঁচে থেকে লাভ কী? এটাই আমার জন্য আত্মহত্যার শামিল। যাতে স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় না আসে, তাদের মানুষ ভোট না দেয়—এমন আবেদন জানিয়েছি ভোটারদের।’
এর আগে শনিবার বিকালে গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের ভুটিয়ারকোনা গ্রামে উঠান বৈঠকে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার ঘোষণা দেন এই সংসদ সদস্য। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নৌকার প্রচার ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মানুষের কাছে তুলে ধরতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নাজিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবো’
বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীরা ৩০ লাখ মানুষকে শহীদ করেছে, এরাই দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে। তারা যদি আবারও ক্ষমতায় আসে, তাহলে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা আপনাদের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবো। যদি শুনতে পারি নৌকা হেরে গেছে, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় গেছে, তাহলে আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না। আমার বেঁচে থাকার কোনও দরকার নেই।’