শেরপুরের নকলা উপজেলার পাঠাকাটা গ্রামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবারের (২১ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং একজন দিনমজুরের মেয়ে ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন আশিক মিয়া (২০), সে টালকী ইউনিয়নের শালুয়া গ্রামের আবু সাইদের ছেলে। তার সঙ্গে আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় পাশের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বের হওয়া কিশোরী যথাসময়ে ফিরতে না পারায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাশের ভুট্টাক্ষেত থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নকলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীর মা ইতোমধ্যে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করছি এবং ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে সর্বাত্মক আইনি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।’
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।