X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

চার দিন না যেতেই আবারও উৎপাদন বন্ধ যমুনা সার কারখানায়

জামালপুর প্রতিনিধি
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:২৩আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:২৩

দেশের বৃহৎ ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই প্ল্যান্টে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, তিতাস গ্যাস সংকটে ১৩ মাস ২৩ দিন কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকালে গ্যাস সরবরাহ করায় ৬০ ভাগ হারে উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু ৪ দিন যেতে না যেতেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু সালেহ মুহা মোসলেহ উদ্দীন। তিনি জানান, অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের ভাল্বে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় কারখানার উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘মেরামত কাজ চলছে। কাজ শেষ হলেই যেকোনও সময় আমরা আবার উৎপাদনে যেতে সক্ষম হবো।’

কারখানা সূত্রে জানা গেছে, যমুনা সার কারখানায় নিরবচ্ছিন্নভাবে উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২ থেকে ৪৩ পিএসআই গ্যাসের চাপের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাস সংকটের কারণে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ দিতে না পারায় গত বছরের ১৫ জানুয়ারি সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে করে বেকার হয়ে পড়েন কারখানাসংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মচারী, পরিবহনের মালিক, চালক, কর্মচারী, কারখানার আশপাশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, হোটেল, রেস্টুরেন্টের মালিকরা।

কারখানা বন্ধ থাকাকালীন সময়ে দেশের বাইরে থেকে আমদানি করে ও দেশের অভ্যন্তরের অন্য সার কারখানায় উৎপাদিত ইউরিয়া সার ডিলারদের মাধ্যমে সরবরাহ করা হতো। তবে কৃষকদের মাঝে এসব সারের চাহিদা কম থাকায় ডিলাররা পড়েন বিপাকে। গত এক বছরে কারখানাটি চালুর দাবিতে বেশ কয়েক দফা বিক্ষোভ ও আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন কারখানাসংশ্লিষ্ট শ্রমিক ও স্থানীয়রা। দৈনিক ১৭০০ মেট্রিক টন সার উৎপাদনের সক্ষমতা নিয়ে ১৯৯১ সালে কারখানাটি যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) তালিকাভুক্ত ১৯০০ ডিলারের মাধ্যমে জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, উত্তরাঞ্চলের কমান্ড এরিয়াসহ ২১টি জেলার ১৬২ উপজেলায় কৃষকদের কাছে কারখানাটি সার সরবরাহ করে আসছিল। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে গ্যাসের চাপের স্বল্পতা এবং কারখানার বিভিন্ন কারিগরি ত্রুটির কারণে সার উৎপাদন নেমে আসে দৈনিক ১২০০ মেট্রিক টনে। দীর্ঘ ১৩ মাস পর আবারও কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এরপর থেকেই কারখানার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে।

উল্লেখ্য, যমুনা সার কারখানা প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম এত দীর্ঘ সময় ধরে বৃহৎ এই কারখানাটি বন্ধ ছিল। সর্বশেষ কারখানাটি ২০২৩ সালে একটানা ৭২ দিন বন্ধ থাকার পর ওই বছরের ১৭ নভেম্বর চালু হয়েছিল। কিন্তু উৎপাদনে থাকা অবস্থায় ৬০ দিনের মাথায় অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি গ্যাস সংকটে কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার বন্ধ হলো চার দিনের মাথায়।

/কেএইচটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গ্রেনাডাতেও ওয়েবস্টার-ক্যারির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া
গ্রেনাডাতেও ওয়েবস্টার-ক্যারির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া
টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুলাই, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুলাই, ২০২৫)
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি