জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে বর পক্ষকে গরুর মাংস কম দেওয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে বরসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৯ জুন) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের গোদাশিমুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আব্দুল মাজেদ সরদার (৪৮), রুকন সরদার (৩৮), বাবু (৩২), লাভলু (৩৫), রিপন সরদার (৪৫), শহিদুল্লাহ (৩৬), আল আমিন (৩০), আলমগীর হোসেন (২৫), মাহফুজ (৩৫), বুরুজ বাবুর্চি (৪৫), আবু সামা (৪৫) ও মেয়ের নানা আব্দুল মালেক (৫৫)। তাৎক্ষণিকভাবে বাদবাকি আহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়াও উভয় পক্ষের আরও প্রায় ১০ থেকে ১২ জন নারী ও পুরুষ আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে মাদারগঞ্জের বালিজুড়ি ইউনিয়নের শুভগাছা এলাকার আমিনুর আকন্দের ছেলে আবু বক্করের (২৪) সঙ্গে একই উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের গোদাশিমুলিয়া এলাকার আছাদুল্লাহর মেয়ের বিয়ে হয়। ওই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য সোমবার গোদশিমুলিয়া এলাকায় মেয়ের বাবা আনিছুর রহমানের বাড়িতে যান ছেলে পক্ষ। বিকাল ৫টার দিকে মেয়ের বাবার বাড়িতে খাবার দিলে ছেলে পক্ষকে গরুর মাংস কম দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হন। পরে ছেলে পক্ষ নতুন বউকে না নিয়েই মেয়ের বাড়ি থেকে চলে যান। খবর পেয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মেয়ে পক্ষের লোকজন পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে গা ঢাকা দিয়েছে।
চরপাকেরদহ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলমাছ আলী জানান, বিকাল ৫টার দিকে খাবার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। মেয়ে পক্ষ ছেলে পক্ষকে আটকায়ে রাখছিল পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
ছেলে আবু বক্করের চাচা আব্বাস আলী বলেন, খাবর নিয়ে কাথা বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে মেয়ে পক্ষের লোকজন আমাদের কয়েকজনকে মারধর করেছে। পরে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে। ৯টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর ও এখানও আমাদের পাঁচটি মোটরসাইকেল মেয়েদের বাড়িতে আছে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, বিয়ে বাড়িতে খাবার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে তবে কেউ গুরুতর আহত হয়নি। এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।