রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় তারেক মাহমুদ উৎস (২২) নামে এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার বন্ধু জাকির হোসেন। নিহত উৎস রংপুর নগরীর লালবাগ এলাকার বাসিন্দা এবং দর্শনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান বকুলের ছেলে।
রবিবার (৮ জুন) রাত ৮টার দিকে তারাগঞ্জ উপজেলার খিয়ার জুম্মা এলাকার নেংটি ছেড়া ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত উৎস দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, ঈদের ছুটিতে রংপুরে আসা উৎস রবিবার সকালে বন্ধুদের সঙ্গে তিনটি মোটরসাইকেলে করে দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর এলাকায় ঘুরতে যান। ফেরার পথে খিয়ারের জুম্মা এলাকায় উৎসের মোটরসাইকেল একটি ভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সামনে পড়ে যায়। এতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই উৎসের মৃত্যু হয়।
উৎসের মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা জাকির হোসেন আহত হন। পরে তাকে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, নিহত উৎস মোটরসাইকেল চালালেও তার মাথায় কোনও হেলমেট ছিল না। ভ্যানকে ওভারটেক করার সময় হঠাৎ করে সে মাইক্রোবাসের সামনে পড়ে যায়। মাথায় আঘাত লাগায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসটি পালিয়ে যায়। তবে গাড়িটি শনাক্ত করা হয়েছে, দ্রুতই সেটিকে জব্দ করা হবে বলে জানান তিনি।
রাতেই নিহত উৎসের মরদেহ তার লালবাগের বাসায় আনা হলে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। সোমবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত উৎসের চাচাতো ভাই আকবর হোসেন জানান, উৎস দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুতে পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।