রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় গ্রেফতার আরও তিন আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মোকসেদা আজগর তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রহমতুল্লাহ ওরফে শাহিন (২৫) এবং রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ খড়খড়ি বাইপাস এলাকার আবদুস সাত্তার (৫০) ও তার ছেলে খায়রুল ইসলাম ওরফে রিপন (২৬)।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও সহকারি কমিশনার ইফতে খায়ের আলম তাদের রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এ সময় আদালতের বিচারক মোকসেদা আজগর প্রত্যেক আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
অধ্যাপক রেজাউল হত্যা মামলায় গত ১৫ মে মাসকাওয়াত হাসান ওরফে সাকিব ওরফে আব্দুল্লাহ নামে এক জেএমবি সদস্যকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে ১৬ মে (সোমবার) সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে মঙ্গলবার (১৭ মে) বেলা ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. শামসুদ্দিন জানান, ওই জেএমবি সদস্য সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
মহানগর পুলিশ কমিশনার জানান, হত্যাকাণ্ডের পর জেএমবি সদস্যরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন খড়খড়ি এলাকায় আশ্রয় নেন। এ ঘটনায় জেএমবি সদস্য মাসকাওয়াতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ আশ্রয়দাতা তিনজনকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে একটু দূরে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে নিহতের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য ওই দিনই মহানগর ডিবি পুলিশের কাছে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন:
‘রেজাউল হত্যায় জেএমবির চার সদস্য সরাসরি জড়িত’
/বিটি/