নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় শুক্কুর আলী (১২) নামে এক শিশুকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ড. এ.কে.এম আবুল কাশেম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কেন্দুয়া উপজেলার চিটুয়া নওপাড়া গ্রামের কাঞ্চন খানের ছেলে শামীম খান (২০), আব্দুস সালামের ছেলে মো. সোহাগ এবং তারাকান্দি রাজিবপুর গ্রামের সুলতু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন। এদের মধ্যে হুমায়ুন পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৯ জুন বিকালে চিটুয়া নওপাড়া গ্রামের মো. ফারুকের ছেলে শুক্কুর আলী মায়ের জন্য বাজারে ওষুধ আনতে গেলে উল্লিখিত আসামিরা তাকে অপহরণ করে। ছেলেও কোনও খোঁজ না পাওয়ায় ফারুক ১২ জুন কেন্দুয়া থানায় একটি জিডি করেন। ২৫ জুন অপহরণকারীরা মোবাইলে শুক্কুরের বাবার কাছে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা না পেয়ে তারা শিশুটিকে হত্যা করে লাশ খণ্ড খণ্ড করে কেটে সুতি নদীতে ডুবিয়ে রাখেন। পরবর্তী সময়ে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আসামিদের আটক করা হয় এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সুতি নদী থেকে শুক্কুর আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট জিএম খান পাঠান বিমল এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বিশ্বাস এবং খাদেমুল ইসলাম। এ ছাড়াও মামলাটির স্টেট ডিফেন্স হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন মাহবুব ও আল আমিন।
/বিটি/