নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত শহরের নগর খানপুর মোকরবা সড়কের বাসাতেই আছেন দাবি করেছেন তার স্ত্রী সবিতা হালদার। কিছুটা ভয় ও আতঙ্কের কথা জানালেও তাদের কেউ গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মোকরবা রোডের ওই বহুতল ভবনে গেলেও সবিতা হালদার তাদের ফ্ল্যাটে কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেননি।
ছয়তলা ভবনের পাঁচ তলার একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন শ্যামল কান্তি ভক্ত। বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে তারা বাসায় এসে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।
ওই ভবনে গিয়ে শিক্ষক শ্যামল কান্তির বাসায় যাওয়ার কথা বললেও তাদের বারণ থাকায় ভেতরে ঢোকার অনুমতি পাওয়া যায়নি। তবে পরে আবারও মোবাইলে যোগাযোগ করা হয় সবিতা হালদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে খুবই টায়ার্ড। স্যারের শরীরও খুব একটা ভালো না। ওনার আরও রেস্ট দরকার। তাই এখন আমরা কারও সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছি না। দুই, একদিন গেলে কথা বলবো। তখন আইসেন।’
নারায়ণগঞ্জ আসার পর কোনও ধরনের হুমকি কিংবা ভয় কাজ করছে কিনা জানতে চাইলে সবিতা বলেন, ‘কিছুটা ভয় ও আতঙ্ক আছে।’
উল্লেখ্য, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করে জনতা। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান সবার সামনে ওই শিক্ষককে কান ধরে উঠবসও করান। পরে শ্যামল কান্তিকে বরখাস্ত করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। কিন্তু পরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাময়িক বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্বপদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত জানান। সেইসঙ্গে এই ঘটনায় ওই স্কুল পরিচালনা কমিটিকে বাতিলের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘আল্লাহ যে দিকে নেয়, সেই দিকেই যাবো’
/বিটি/টিএন/
আপ: এইচকে