কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বার্তা বাহক ফারুক হোসেনের মাধ্যমে সিলগালা করা খামে কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়। সেটি গ্রহণ করেন সিআইডি কুমিল্লার এএসআই মোশারফ হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরেনসিক বিভাগ ও ময়নাতদন্তকারী মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা। তবে বহুল আলোচিত দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কী রয়েছে তা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে দুপুর ১টার দিকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন ডা. কামদা প্রসাদ সাহা।
গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে তার প্রথম ময়নাতদন্ত করেন ডা. শারমিন সুলতানা। গত ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ মুরাদনগরের মির্জাপুরে তার গ্রামের বাড়ি কবর থেকে উত্তোলন করা হয় এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
গত ৪ এপ্রিল প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না পাওয়া যাওয়ায় দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ। গত ১৬ মে তনুর কাপড়ে তিন পুরুষের শুক্রাণু পাওয়ার খবর সিআইডি থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আবারও আলোচনায় উঠে আসে প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন। প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং ডিএনএ প্রতিবেদনের এমন গড়মিলের তথ্যে ঝুলে যায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন।
দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের সহায়ক হিসেবে ডিএনএ প্রতিবেদন পেতে ফরেনসিক বিভাগের দফায় দফায় চিঠি চালাচালির পর বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। গত ৫ জুন কুমিল্লার অতিরিক্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম তনুর দাঁত, চুল, কাপড়সহ সাতটি বিষয়ের পুরো ডিএনএ প্রতিবেদনই ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়। ৭ জুন মঙ্গলবার পুরো ডিএনএ প্রতিবেদন সিআইডি থেকে ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। ৯ জুন তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সভায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে নেয় ফরেনসিক বিভাগ।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ৮৪ দিন পার হলেও এখনও সিআইডির তদন্তে দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি নেই। এ বিষয়ে যোগাযোগ করেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন:
দেশে ৭৪ লাখ শিশু শ্রমিক!
কেমন হবে পদ্মা সেতুতে রেললাইন
/বিটি/এসটি/