কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও মৃত্যুর কারণ পাওয়া যায়নি। তবে মৃত্যুর আগে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী বোর্ডের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা। রবিবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বোর্ড প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা তার কার্যালয়ে এ সব কথা বলেন।
ধর্ষণ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স থেকে বিষয়টা বুঝে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর ১০ দিন পর মরদেহ ময়নাতদন্ত করায় তার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা তা শনাক্ত করতে পারেনি বোর্ড। কারণ ততদিনে তার শরীর পচে গেছে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তনুর মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়নি। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে পুলিশকে অধিকতর তদন্তসহ পারিপার্শ্বিক তদন্ত করতে পরামর্শ দিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।
গত ২০ মার্চ তনুর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাসে বাসার অদূরের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়। ২১ মার্চ তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। এতে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত নয় এবং ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দেন চিকিৎসক শারমিন সুলতানা। ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন তনুর বাবা-মা। পরবর্তীতে ২৮ মার্চ আদালত নির্দেশ দেন, তনুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করার। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ মার্চ তনুর লাশ মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে গ্রামের বাড়ির কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়।
আরও পড়ুন:
তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সিআইডির কাছে হস্তান্তর
মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল
/বিটি/এপিএইচ/