X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বন্ধের খবরে শঙ্কিত গাজীপুর সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা

গাজীপুর প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০১৬, ২২:৫৯আপডেট : ১৪ জুন ২০১৬, ১৭:১৬

একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের খবর প্রচারে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা। সোমবার গাজীপুরের সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এ খবরটি ছিল প্রধান আলোচনার বিষয়। সোমবার দুপুর ১২টায় কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ শঙ্কার চিত্র ধরা পড়ে।

গাজীপুর সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

কলেজ থেকে ফেরার পথে কথা হয় এ মেডিক্যাল কলেজের চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থী আলিফ ও আহমেদের সঙ্গে। আহমেদ বলেন, চূড়ান্ত পর্বের জন্য ফরম পূরণের কাজ চলছে। এরকম সময়ে মন্ত্রণালয়ের এ খবরে আমরা বিস্মিত হয়েছি। পড়াশোনা করব নাকি এ নিয়ে চিন্তা করে সময় নষ্ট করব ভেবে পাচ্ছি না।

আলিফ বলেন, কলেজে আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বডি (মৃতদেহ)সহ অন্য উপকরণগুলো রয়েছে। আমাদের প্রয়োজনীয় দক্ষ শিক্ষকও রয়েছে। আউটডোরে প্রচুর রোগী আসে। কিন্তু ইনডোরে রোগী কম থাকে। বেসরকারি হাসপাতালের চার্জ বেশি তাই ইনডোরে রোগী কম হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিমত, হঠাৎ করে সরকারের এরকম সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বাধা সৃষ্টি করবে। কোনও ত্রুটি বিচ্যূতি থাকলে কলেজ কর্তৃপক্ষকে শর্তারোপ করে সময় বেঁধে দেওয়া উচিত।

দ্বিতীয় পেশাগত পর্বের শিক্ষার্থী মাহমুদুর রেজা বলেন, কলেজটির পাঠদান কার্যক্রমে আমরা সন্তুষ্ট। কিন্তু হাসপাতাল ও কলেজ ভিন্ন জায়গায়। অর্থাৎ অবকাঠামোর সাময়িক সমস্যা রয়েছে। এছাড়া পঠন পাঠনে কোনও সমস্যা নেই।

সহপাঠী আশরাফুল ইসলাম বলেন, অ্যানাটমি, ফিজিওলজি এবং বায়োকেমিক বিভাগে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ, মৃতদেহ, ল্যাবরেটরি সবই রয়েছে। কী কারণে মন্ত্রণালয় কলেজটির ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বুঝতে পারছি না।

আরেক সহপাঠী মোহাম্মদ আলী বলেন, অন্য জায়গায় গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ায় নিজেকে সেই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হবে। এ অবস্থায় একজন শিক্ষার্থীর মানসিকতা স্বাভাবিক থাকে না।

কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক মো: ইউনুস আলী মণ্ডল কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে মন্ত্রীর নির্দেশের বিষয় নিয়ে বৈঠক করছিলেন। ওই বৈঠকে তিনি জানান, কী কারণে মন্ত্রণালয় আমাদের এ তালিকায় ফেললেন জানা নেই।

তিনি বলেন, আমরা কোনও কাগজপত্র হাতে পাইনি। তবে মেডিক্যাল কলেজ থেকে ক্যাম্পাসের দূরত্ব ২ মিনিটের পায়ে হাঁটার পথ। একই স্থানে মেডিক্যাল ও কলেজ স্থাপনের অবকাঠামোগত কাজ চলছে। এ ছাড়া সরকারের সকল নিয়ম কানুন মেনেই কলেজটি সরকারী অনুমোদনে প্রতিষ্ঠিত।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর মন্ত্রণালয় থেকে কলেজ পরিদর্শন করা হয়। নীতিমালায় কোনও অভাব থাকলে তখনও আমাদেরকে সরকার বিষয়টি অবহিত করতে পারত। এ মুহূর্তে ছয়টি ব্যাচ চালু রয়েছে। ৫০টি আসন নিয়ে কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছে। সর্বশেষ ৮০টি সিট বরাদ্দ পেয়েছি। কলেজের উন্নয়ন না হলে সিটের সংখ্যা বাড়ানো হয় কিভাবে?

তিনি আরও বলেন, কলেজে শিক্ষার্থী হিসেবে ১৬৫ জন মেয়ে, ১৩৭ জন ছেলে শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে ২৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থী। তাদের পাঠদানের জন্য ৮৯ জন শিক্ষক রয়েছেন। আড়াই শ’ শিক্ষার্থী ধারণ ক্ষমতা বিশিষ্ট তিনটি হোস্টেল রয়েছে।

আরও পড়ুন: শিক্ষক, রোগী ও চিকিৎসা সামগ্রীর স্বল্পতা নিয়ে চলছে নর্দান মেডিক্যাল কলেজ

/এইচকে/টিএন/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আজ মধ্যরাত থেকে আগামী ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ
আজ মধ্যরাত থেকে আগামী ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ
জম্মু ও কাশ্মীরে জোড়া হামলা, নিহত ১, দম্পতি আহত
জম্মু ও কাশ্মীরে জোড়া হামলা, নিহত ১, দম্পতি আহত
মিরপুরে অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে চালকদের বিক্ষোভ
মিরপুরে অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে চালকদের বিক্ষোভ
১১ বছর পর এভারেস্ট ছুঁলেন আরেক বাংলাদেশি
১১ বছর পর এভারেস্ট ছুঁলেন আরেক বাংলাদেশি
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক