তিন মাদ্রাসা ছাত্রসহ চট্টগ্রামের তিন উপজেলায় ৫ কিশোর ও তরুণের নিখোঁজ থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। নিখোঁজের তথ্য নিশ্চিত করার পর পুলিশ তাদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
যে ৫ জনের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে তারা হলো- হলদিয়া ইউনিয়নের হযরত আব্দুল কাদের হেফজখানা ও এতিমখানার ছাত্র মো. ফরহাদ (১৩) এবং পৌরসভার গহিরা এফ কে এম জামেউল উলুম বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র মো. এমরান হোসেন (১৪), পটিয়ায় শাহ মীরপুর মাদ্রাসার ছাত্র মো. কাইয়ুম উদ্দিন (১৮), চন্দনাইশের হাশিমপুর গ্রামের মৃত আবুল বশরের ছেলে মো. জসিম (১২) ও একই উপজেলার চর বরমা গ্রামের নুরুল মোস্তফার ছেলে কাউছার হামিদ (২০)।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত রাউজানে দু’জন, চন্দনাইশে দু’জন এবং পটিয়ায় একজন নিখোঁজের তথ্য পেয়েছি। তবে নিখোঁজ থাকা মানেই যে তারা জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, বিষয়টা তা নয়। আমরা তাদের বর্তমান অবস্থান এবং কার্যক্রম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, জেলার ১৬ থানা থেকে নিখোঁজদের পৃথক পৃথক তালিকা এসেছে। সেগুলো যাচাই ও সমন্বয় করে আমরা একটা চূড়ান্ত তালিকা করব। তখন জেলা থেকে নিখোঁজদের সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, গত দুই বছরে যেসব তরুণ-যুবক নিখোঁজ হয়েছে উল্লেখ করে থানায় জিডি হয়েছে তার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। গুলশান হামলার পর বিষয়টি সামনে এলে ১০ জুলাই বিশেষ এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ এবং সিএমপি এ সংক্রান্ত দুটি তদন্ত কমিটিও করেছে। যার একটির দায়িত্বে রয়েছেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার নাজমুল হাসান ও অন্যটির নেতৃত্বে আছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ।
- আর্টিজানের ঝোপে লুকিয়ে বাঁচার কথা জানালেন জাপানি নাগরিক তামাওকি
- তাহমিদের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখছে কানাডা
- নিখোঁজদের তালিকা তৈরি নিয়ে বিভ্রান্তি!
/এমও/এজে/