ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতুতে যানবাহনের ধীরগতির কারণে সেতু পার হতে ঘণ্টাব্যাপী সময় লাগছে। ফলে যানবাহনের লাইন দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে। এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রুপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণের কারণে রাস্তা সরু ও উচু নিচু থাকার কারণে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে।
অন্যদিকে, গাজীপুরের মীরের বাজার থেকে মদনপুর পর্যন্ত বাইপাস সড়ক দিয়ে যানবাহন পাস করতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরপর সিগন্যাল দিচ্ছে পুলিশ। একদিকে যানবাহনের ধীরগতি অন্যদিকে সিগন্যালের কারণে ভুলতা এলাকায় থেমে থেমে যানজট হচ্ছে। আবার রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি বিকল হয়ে প্রায়ই যানজট হচ্ছে। পুলিশ বলছে, রাস্তায় একটি গাড়ি বিকল হলে রেকার দিয়ে সেই গাড়িটি সরিয়ে নিতে প্রায় ৪০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়। অনেক সময় এ কারণেও যানজট হচ্ছে।
বুধবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে মেঘনা ঘাটের টোলপ্লাজা পর্যন্ত যানজট নেই। কিন্তু মেঘনা টোলপ্লাজা দিয়ে ছয়টি লেনে টোল দিয়ে মেঘনা সেতুতে দুই লেনে গিয়ে উঠতে হচ্ছে। ফলে যানজট লেগে যাচ্ছে।
মেঘনা টোলপ্লাজার নির্বাহী পরিচালক জিয়াউর রহমান জানান, কাঁচপুর সেতু পার হয়ে যে গাড়ি কুমিল্লা বা চট্টগাম যাচ্ছে সেসব গাড়ি মেঘনা টোল প্লাজায় ছয়টি লেনে টোল দিয়ে দুই লেনে সেতুতে উঠতে গিয়ে যানবাহনের চাকা ধীরগতিতে ঘুরছে। যার কারণে সরু সেতুতে গাড়ির লাইন জমে যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের সময় মহসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি ও পশুবাহী ট্রাকের কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তৃষা পরিবহনের চালক নবী হোসেন জানান, মেঘনা সেতু পার হতেই তার এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। সেতুতে ওঠার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
তিনি জানান, গোমতী সেতু পার হলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল কাইউম জানান, কাঁচপুর থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত পরিবহনের চাপ থাকলেও তীব্রতা নেই। টোলপ্লাজা এবং লেনের কারণে কোথাও কোথাও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে সকাল থেকেই দুই মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখি মানুষের ভীড় দেখা যায়।
আরও পড়ুন: