মা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চালানো অভিযানে মানিকগঞ্জের শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলায় ৪৭ জেলেকে আটক করা হয়। এরমধ্যে শিবালয়ের ২৮ জনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও বাকি ১০ জনকে চার হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামাল মোহাম্মদ রাশেদ। এদিকে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা ৯ জনকে সাত দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন।
শিবালয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রফিকুল আলম জানান, সোমবার (৯ অক্টোবর) রাতে পদ্মা-যমুনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ৩৮ জেলেকে আটক ও পাঁচ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামাল মোহাম্মদ রাশেদ সবাইকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। এছাড়া জব্দ করা পাঁচ লাখ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।
অপরদিকে দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৯ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে সাত দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা। সোমবার রাতে কানিজ ফাতেমা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার ও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের যমুনা নদী থেকে আটক করে। জেলেদের কাছ থেকে ১০ হাজার মিটার জাল ও ৭০ কেজি মাছ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন- নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই যমুনায় ইলিশ ধরা চলছে