X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

গোদাগাড়ীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফুল চাষ

রাজশাহী প্রতিনিধি
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:৪৫আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:৪৫

রাজশাহীতে ফুল চাষ বাড়ছে

রাজশাহীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফুল চাষ। জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় নানা প্রজাতির ফুল চাষ হচ্ছে। আর সে ফুল রাজশাহী নগরী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে অন্য জেলা থেকে ফুল আমদানির চাহিদা তুলানামূলকভাবে কমে গেছে।

জানা গেছে, ফুলের ভালো উৎপাদন ও দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। চলতি মৌসুমে গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্ল্যাডিওলাস, গাদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা ও জারবেলাসহ বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের গোপালপুর ও মোহনপুর ইউনিয়নের বাউটিয়া এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হয়ে আসছে।

চলতি মৌসুমে দেড় বিঘা জমিতে গ্ল্যাডিওলাস ফুল চাষ করেছেন গোদাগাড়ী উপজেলার গোপালপুরের কৃষক কাইউম আলী। তিনি বলেন,‘আগে বোরো ধান চাষ করতাম। কিন্তু ২০১২ সালের দিকে কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ১০ কাঠা জমিতে গ্ল্যাডিওলাস ফুল চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিলাম। এর পরের বছর থেকে ফুল চাষ বাড়াতে থাকে। চলতি মৌসুমে দেড় বিঘা জমিতে ফুল চাষে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এই মৌসুমে ফুল বিক্রি করে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা লাভ হবে আশা করছি।’

ফুলচাষী কাইউম আলী আরও বলেন,‘জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান ছাড়াও বিয়ের অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা জমি থেকেই ফুল কিনে নিয়ে যায়। এ বছর প্রতিটি গ্ল্যাডিওলাস ফুলের স্টিক বিক্রি করছি ১৮ টাকায়। আর বাজারে প্রতিটি গ্ল্যাডিওলাস ফুলের স্টিক বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটার বিদিরপুর ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন,‘ফুল চাষে সেচ ও রাসায়নিক সারের প্রয়োজন কম হয়। পোকা-মাকড় ও রোগবালাই কম হয়। এ কারণে শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি ফুল পাওয়া যায়। ফুলচাষের পদ্ধতি সহজ হলেও পরিচর্যা করতে হয় বেশি। ’

গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাউটিয়া গ্রামের কৃষক নাদিম হোসেন জাপানের একটি সংস্থার প্রকল্পের আওতায় চার বিঘা জমিতে জারবেলা, গাদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা ও গ্ল্যাডিওলাস ফুলের চাষ করেছে। তিনি বলেন,‘রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে খুচরা ফুল বিক্রেতারা জমিতে এসে তাদের পছন্দ অনুযায়ী ফুল ক্রয় করে নিয়ে যায়।’

রাজশাহী নগরীর ফুল বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন,‘আগে যশোর, ঝিনাহদহ থেকে ফুল পাইকারি দরে কিনে আনতাম। তবে দূরের পথের কারণে ফুলের তরতাজা ভাবটা অনেক সময় নষ্ট হয়ে যেত। আর এখন গোদাগাড়ী থেকে ফুল নিয়ে আসলে তাজা থাকে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী গোদাগাড়ীতে যশোরের মতো ব্যাপক ফুলের চাষ হয় না। তাই এখনও যশোর থেকে আমাদের ফুল আমদানি করতে হয়।

গোদাগাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মরিয়ম আহম্মেদ বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ফুল চাষের ওপর কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ধান, গম, টমেটো ও শাক-সবজির পাশাপাশি অর্থকারী ফসল হিসেবে ফুল চাষে ঝুঁকছে কৃষকেরা। এতে ফুল চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে।

গোদাগাড়ী কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,‘রাজশাহী অঞ্চলের মাটি ফুল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। সময় মতো সেচ ও সার দেওয়া গেলে ফুলের ভালো ফলন হবে। আগামী বছর ফুলচাষ বাড়াতে আরও কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

আরও পড়ুন: ৩ বছরে মাগুরা পাসপোর্ট অফিসের আয় বেড়ে ৪ গুণ


 

/জেবি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
খারকিভে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া: ইউক্রেন
খারকিভে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া: ইউক্রেন
‘অধিকার দিতে হবে না, কেড়ে না নিলেই হবে’
‘অধিকার দিতে হবে না, কেড়ে না নিলেই হবে’
ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য গ্যান্টজের পদত্যাগের হুমকি
ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য গ্যান্টজের পদত্যাগের হুমকি
উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ না নিতে এমপিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার চিঠি
উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ না নিতে এমপিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার চিঠি
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক