রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় নিহত আব্দুল্লাহ আল মামুনের (৪৫) বাড়ি দিনাজপুরের বালুয়াডাঙ্গায়। তিনি তার ধরে নামার সময় মারা যান।
সন্ধ্যায় তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিকালেই খবর পেয়েছেন মামুনের পরিবারের সদস্যরা। মরদেহ না পৌঁছালেও তার বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনরা ভিড় করছেন।
মামুন এফ আর টাওয়ারের ১২ তলায় হেরিটেজ এয়ার লাইন্স নামে একটি ট্রাভেলস এজেন্সিতে প্রধান হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন।
মামুনের বড় ভাই বিরল ডিগ্রি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোশাররফ হোসেন জানান, তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মামুন দ্বিতীয়। প্রায় ১৫ বছর ধরে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ঢাকার কল্যাণপুরে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার বাবা মৃত. আবুল কাশেম। তিনি সাবেক বন কর্মকর্তা। মা মেহেরুন নেছা বাড়িতে থাকেন।
মোশাররফ হোসেন জানান, জীবন বাঁচাতে কয়েকজন মিলে তার ধরে নিচে নামছিলেন। এ সময় হাত থেকে তার ছুটে গিয়ে মামুন নিচে পড়ে গিয়ে মারা যান। তার মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে বলে শুনেছেন। এরপর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন–
‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগতে পারে’
ভবনে প্রচুর দাহ্য পদার্থ রয়েছে: ফায়ার সার্ভিস
সব হাসপাতালকে বিনামূল্যে চিকিৎসার নির্দেশ
এফ আর টাওয়ারে আগুন: বিভিন্ন হাসপাতালে সাতজনের মরদেহ
ভাঙা কাচের ফাঁক দিয়ে হাত বাড়িয়ে সাহায্যের আকুতি
এফ আর টাওয়ারের পাশের ভবনেও ছড়িয়ে পড়ছে আগুন
দোতলা থেকে লাফ দেন শ্রীলঙ্কান নাগরিক ইন্ডিকা মারসিলিং
বনানীর আগুন নেভাতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার
ভাঙা কাচের ফাঁক দিয়ে হাত বাড়িয়ে সাহায্যের আকুতি