X
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
১৮ আষাঢ় ১৪৩২

‘ইয়াবা ডন’ সাইফুল ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কক্সবাজার প্রতিনিধি
৩১ মে ২০১৯, ০৪:৫৩আপডেট : ৩১ মে ২০১৯, ০৫:২৩

‘ইয়াবা ডন’ হাজি সাইফুল করিম

সম্প্রতি দুবাই থেকে ফিরে আসা আলোচিত ‘ইয়াবা ডন’ হাজি সাইফুল করিম (৪৫) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাত সাড়ে ৩ টার দিকে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানা প্রাচীরের শেষ প্রান্তে নাফ নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১৫১ জনের মাদক কারবারির তালিকার এক নম্বরে ছিল এই সাইফুল।   

টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় তল্লাশি করে ৯টি এলজি, ৪২ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ৩৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

অভিযানের ব্যাপারে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘দেশের শীর্ষ ইয়াবা ডন সাইফুল করিমকে পুলিশ অস্ত্র ও মাদক মামলায় গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত কয়েক দিন আগে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান এনে টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানা প্রাচীরের শেষ প্রান্তে নাফ নদীর পাড়ে মজুদ করা হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশের একটি দল তাকে নিয়ে সেখানে যায়। তখন তার অস্ত্রধারী সহযোগীরা পুলিশকে গুলি করে। এসময় ঘটনাস্থলে এসআই রাসেল আহমেদ (৩৫), কনস্টেবল ইমাম হোসেন (৩০) এবং কনস্টেবল মো. সোলেমান (৩৬) আহত হন। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে আটক সাইফুল করিম (৪৫) গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ ইয়াবা ডন সাইফুল করিম (৪৫) কে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ 

সাইফুলের মরদেহ

ওসি প্রদীপ আরও জানান, সাইফুলের বিরুদ্ধে টেকনাফ, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থানায় ৭টি মামলা রয়েছে। একইভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা মাদক কারবারিদের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে সে।  

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ইয়াবা কারখানার মালিকরা লাখ লাখ ইয়াবার চালান পাঠায় সাইফুলের কাছে। কারণ মিয়ানমারে স্থাপিত ৩৮টি ইয়াবা কারখানায় উৎপাদিত মাল বিক্রির একমাত্র মার্কেট হচ্ছে বাংলাদেশ। এই ইয়াবা ব্যবসার সুবিধার্থে মিয়ানমার-বাংলাদেশ চলাচলের জন্য একাধিক জাহাজও কিনেছিল সাইফুল।

উল্লেখ্য, টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের শিলবুনিয়া পাড়া এলাকার মো. হানিফ প্রকাশ ওরফে হানিফ ডাক্তারের ছেলে সাইফুল করিম। চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতি প্রথম দফায় ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছে কক্সবাজারে। তখন সাইফুল করিমের আত্মসমর্পণের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এখন দ্বিতীয় দফা আত্মসমর্পণের সুযোগকে কাজে লাগাতে সে দুবাই থেকে ফিরেছিল বলে জানা গেছে। 


আরও খবর: পুলিশি হেফাজতে ‘ইয়াবা ডন’ সাইফুল 

 

 

/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সাবেক পুলিশ সুপার আরিফুর সাময়িক বরখাস্ত
সাবেক পুলিশ সুপার আরিফুর সাময়িক বরখাস্ত
অনুমোদন ছাড়া আমদানি মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করলে ব্যবস্থা
অনুমোদন ছাড়া আমদানি মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করলে ব্যবস্থা
ছিটকে গেলেন মহারাজ, দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্বে মুল্ডার
ছিটকে গেলেন মহারাজ, দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্বে মুল্ডার
ইউনিয়ন পরিষদে ব্যবসায়ীকে হত্যা
ইউনিয়ন পরিষদে ব্যবসায়ীকে হত্যা
সর্বাধিক পঠিত
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
ক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!
ঢাকা সিটি কলেজক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!
বাসা থেকে বিচারকের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
বাসা থেকে বিচারকের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার