X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

৯ দিন ধরে ময়লা সরে না ঘোড়াশাল পৌরসভায়

নরসিংদী প্রতিনিধি
২২ জুলাই ২০১৯, ১৯:১৭আপডেট : ২২ জুলাই ২০১৯, ২০:০৭

৯ দিন ধরে তালা ঝুলছে ঘোড়াশাল পৌরসভায়

বেতন-ভাতা ও পেনশন সরকারিকরণের দাবিতে দেশজুড়ে ডাকা আন্দোলনের অংশ হিসেবে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান করছেন ঢাকায়। এতে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভায় সব ধরনের সেবামূলক কাজ বন্ধ রয়েছে। ৯ দিন ধরে এ পৌরসভা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘোড়াশাল পৌরবাসী।

সোমবার (২২ জুলাই) সরেজমিনে ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে কেউ দায়িত্ব পালন না করায় শহরের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হচ্ছে না। ফলে পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কের পাশে ময়লার স্তূপ জমে দুর্গন্ধে নাকাল পৌরবাসী। পৌর এলাকার অধিকাংশ ড্রেন পরিষ্কার না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সংস্কার কাজ। এছাড়া রাতে জ্বলছে না বিভিন্ন সড়ক বাতিগুলোও। পৌরসভা থেকে নাগরিক সনদ, জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স তুলতে না পেরে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সেবাপ্রত্যাশী নাগরিকরা।

পৌর এলাকার বাসিন্দা আরিফ খন্দকার জানান, আমাদের এলাকায় টানা কয়েক দিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ও ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করার কারণে প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন পৌরবাসী।

সেবা নিতে আসা রফিক উদ্দিন বলেন, আমি নাগরিক সনদ নিতে এসেছিলাম। এসে দেখি, কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলছে। নাগরিক সনদ তুলতে না পেরে চাকরির জন্য আবেদনও করতে পারছি না। আগামী দুই দিনের মধ্যে পৌর কার্যালয় না খুললে আমার আর চাকরির আবেদন করা হবে না। কবে এই তালা খুলবে তা কেউ বলতে পারছে না।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ঘোড়াশাল পৌর শাখার সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজে ফিরবো না।

বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা বিভাগের সভাপতি ও ঘোড়াশাল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার সাদাৎ হোসেন ভূইয়া বলেন, পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলি ও শাস্তি দেয় সরকার, আর বেতন দেয় পৌরসভা। এভাবে চলতে পারে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে ঘোড়াশাল পৌর মেয়র শরিফুল হক বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে নাগরিক সুবিধা ও রাজস্ব আদায় ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে। ফলে পৌর শহরের উন্নয়ন কাজ থমকে গেছে। দেশের অন্যান্য পৌরসভাগুলোর মধ্যে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ঘোড়াশাল পৌরসভা অন্যতম। তারপরও প্রতি মাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। তাই আমি মনে করি, সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা দিলে পৌর এলাকাগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হবে।

 

/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইরাকি ঘাঁটিতে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
ইরাকি ঘাঁটিতে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ সভাপতির সাহসী পদক্ষেপ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ সভাপতির সাহসী পদক্ষেপ
‘তীব্র গরমে’ চু্য়াডাঙ্গা ও পাবনায় ২ জনের মৃত্যু
‘তীব্র গরমে’ চু্য়াডাঙ্গা ও পাবনায় ২ জনের মৃত্যু
ডাগআউট থেকে রিভিউ নিতে বলায় ডেভিড, পোলার্ডের শাস্তি
ডাগআউট থেকে রিভিউ নিতে বলায় ডেভিড, পোলার্ডের শাস্তি
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল