লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বনচৌকি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি দুই যুবকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ওই দুই জনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। পরে তাদের লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক করেছে।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল এসএম তৌহিদুল আলম বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন পরিচালক (কমান্ডার) পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত পতাকা বৈঠক চলছে। পতাকা বৈঠক শেষে আলোচনা সম্পর্কে জানানো হবে।’
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলার বনচৌকি সীমান্তের ৯০৭ নম্বর মেইন পিলারের ৪ নম্বর সাব-পিলার এলাকায় বিএসএফের পাগলীমারী ক্যাম্পের একটি টহল দলের গুলিতে বাংলাদেশি ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, গোতামারী ইউনিয়নের পূর্ব আমঝোল এলাকার শাহজাহান আলীর ছেলে সুরুজ মিয়া (৩২) ও একই এলাকার উসমান আলীর ছেলে সুরুজ আলী (১৭)। এ ঘটনায় বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতেই হাতীবান্ধা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লালমনিরহাট ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মনজুর মোরশেদ দোলন বলেন, ‘নিহত দুই যুবকের শরীরে বুলেটের ক্ষত পাওয়া গেছে। বিস্তারিত বর্ণনা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া যাবে।’
হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি দুই যুবকের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে নিহত সুরুজ আলীর চাচা হযরত আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’
হযরত আলী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর মরদেহের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর কোনও বাংলাদেশি যেন বিএসএফের গুলিতে নিহত না হয়, যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের আটক করে জেল হাজত দেওয়া হয়। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।’