X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

মুন্সীগঞ্জে অজ্ঞাত রোগে একই পরিবারের দুজনের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
২৭ জানুয়ারি ২০২০, ২১:৪৫আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ২২:১০

স্বজনদের আহাজারি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার যশলদিয়া গ্রামে অজ্ঞাত রোগে ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই পরিবারের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আকস্মিকভাবে তারা মারা যাওয়ায় ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, বিষয়টি পর্যবেক্ষণে ডাক্তারদের একটি টিম নিহতদের বাড়িতে গেছে।

জানা গেছে, রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই গ্রামের মীর জুয়েলের স্ত্রী শামীমা বেগম (৩৪) এবং দিবাগত রাত ২টার দিকে তার ভাসুর মীর সোহেলের ছেলে আব্দুর রহমান (৩) মারা যায়।

মীর জুয়েলের চাচাতো ভাই মীর শিবলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকালে আকস্মিক জ্বরে আক্রান্ত হন ভাবি। ধীরে ধীরে তার শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল লাল ছোপ দেখা দেয়। জ্বর আসার ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে তিনি মারা যান। পরে ভাতিজা আব্দুর রহমান আকস্মিক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মারা গেছে। আব্দুর রহমান জ্বরে আক্রান্ত হলে মুহূর্তে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল লাল ছোপচিহ্ন ফুটে ওঠে। ধীরে ধীরে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে মৃত্যুকোলে ঢলে পড়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক দেখিয়েছিলাম। কিন্তু, ঢাকায় নেওয়ার সুযোগ পাইনি। গতকাল (রবিবার) বিকালে ভাবিকে দাফন করি। আজ (সোমবার) দুপুরে দাফন করি ভাতিজাকে। তারা কোন রোগে মারা গেল বুঝতে পারছি না। আজ প্রশাসনের লোকজন ও ডাক্তাররা এসেছিলেন। কিন্তু, চিকিৎসকরা রোগ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি।’

নিহতদের বাড়ি পরিদর্শন করা ডাক্তারদের টিমে ছিলেন ডা. মো. আতিক। তিনি বলেন, ‘নিহত দুইজনের কারও মরদেহ আমরা অবশ্য দেখতে পাইনি। তবে, স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে তারা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়েছিল। তবে, কী রোগে তারা মারা গেছে এখনই বলা যাবে না। এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলা যাবে।’

লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. কামরুল হাসান পাটোয়ারী জানান, শনিবার বিকালে জ্বর, পাতলা পায়খানা ও কাঁপুনি নিয়ে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন শামীমা। এরপর ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ সেবন করে। রাতে শরীরের তাপমাত্রা আরও বাড়তে শুরু করে। পরদিন সকালে মারা যান তিনি। এরপর শিশু আব্দুর রহমানও জ্বরে আক্তান্ত হলে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। রাতে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে রাত ২টায় সেও মারা যায়।

/এমএএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে কোনও অগ্রগতি হয়নি: ট্রাম্প
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে কোনও অগ্রগতি হয়নি: ট্রাম্প
আ.লীগ নেতার বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ সদস্য আটক
আ.লীগ নেতার বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ সদস্য আটক
হিজরি সনের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক গভীর যে কারণে
হিজরি সনের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক গভীর যে কারণে
চকরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
চকরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল