করোনা পরিস্থিতির মধ্যে লকডাউন শিথিল করে আমদানি-রফতানি চালুর অনুমোতি দিয়েছে সরকার। সেই অনুযায়ী দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি চালুর জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের চিঠি দেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা রাজি না হওয়ায় এই বন্দর দিয়ে আপাতত আমদানি- রফতানি শুরু হচ্ছে না।
হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী হেলাল হোসেন ও শেরেগুল মুন্সি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। পরে ভারত ও বাংলাদেশে লকডাউন ঘোষণা করায় দেড়মাস ধরে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত ২২ এপ্রিল সরকার পণ্য আমদানি-রফতানির জন্য অনুমতি দিলে ভারতের হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনকে পত্র দিয়ে অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত কোনও সাড়া দেয়নি। তারা জানিয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে, এ করণে সরকারের অনুমতি না মেলায় পণ্য রফতানির কোনও সিদ্ধান্ত তারা দিতে পারছে না।'
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার আব্দুল হান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'এনবিআরের নির্দেশনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, জরুরি চিকিৎসা, অন্যান্য সেবাসামগ্রীসহ নির্ধারিত কিছু পণ্য আমদানি এবং আমদানিকৃত পণ্যের শুল্কায়নের জন্য হিলি স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের সব কার্যক্রম চালু রয়েছে। সব কর্মকর্তা উপস্থিত আছেন। কোনও পণ্য আমদানি করা হলে শুল্ক-করাদি পরিশোধ সাপেক্ষে ছাড় দেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত বন্দর দিয়ে কোনও পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হয়নি।'