মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের পূর্ব জামসি গ্রামে মা ও মেয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে আজগর আলী (৩৫) তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ও শাশুড়ি জায়েদা বেগমকে খুন করে। রবিবার (৭ জুন) মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খুনের কথা স্বীকার করে জবানবন্দিতে দিয়েছে আজগর।
৮-৯ বছর আগে ইয়াসমিনের সঙ্গে আজগরের বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। দেড়বছর ধরে তার স্ত্রী বাপের বাড়িতে থাকতো। আর সন্তান তার কাছে থাকতো। এ নিয়ে মৌলভীবাজার আদালতে আজগর মামলাও করেছেন। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সে শাশুড়ি ও স্ত্রীকে হত্যা করে।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, ঘটনার পরদিন শনিবার রাতে আজগরকে সিন্দুরখান ইউনিয়নের তালতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
খুনের বর্ণনা দিয়ে আজগর জানায়, পারিবারিক বিরোধের জেরে সে বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের পেছনে বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এরপর চুলায় আগুন জ্বালানোর লোহার চুঙ্গা (পাইপ) দিয়ে প্রথমে শাশুড়ির বুকে ঘা দেয়। পরে স্ত্রী ইয়াসমিনকে আঘাত করে খুন করে।
প্রসঙ্গত. শুক্রবার (৫ জুন) শ্রীমঙ্গলের পূর্ব জামসি গ্রামে বসত বাড়ি থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জায়েদা বেগমের মেয়ে জেসমিন বেগম বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় আজগর আলীকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর আজগরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।