ভারী বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৭টি উপজেলায় প্রায় ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানান, ৬১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯ হাজার ৭২৮ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য আরও সাত লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এ উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের ৬৭ টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে বন্যার পানি কমতে শুরু করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বন্যার কারণে মানুষের দুর্ভোগ অনেক বেড়েছে। গো-খাদ্যের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় লোকজন উচুঁ সড়ক ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। ইসলামপুর আসনের এমপি আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলাল বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিকালে বন্যাদুর্গত বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।