পাবনা-সুজানগর আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার কোলাদি জামতলী বাজারের কাছে একটি খাল আছে, ভরা বর্ষাতেও সেখানে পানি নেই, তবুও কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে পুরোনো দুটি বড় কালভার্ট ভেঙে নতুন কালভার্ট নির্মাণ করছে পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সংশ্লিষ্ট দফতরের এমন সিদ্ধান্তে এবং সরকারের অর্থ বিনা প্রয়োজনে অপচয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। অন্যদিকে কালভার্ট নির্মাণ কর্তৃপক্ষের দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুরনো নকশাতেই কালভার্টের পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে।
কোলাদি গ্রামের বাসিন্দা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাঈদ-উল-ইসলাম বলেন, 'এখানে খাল ছিল। স্থানীয় চাষিরা খালের পানিতে চাষাবাদ করতেন। কিন্তু জনবসতি বৃদ্ধি হওয়ায় কয়েক দশক ধরে এই খালে পানি নেই। স্থানীয়রা কৃষি কাজে এখন ভূ-গর্ভের পানি ব্যবহার করছেন।'
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই স্থানে পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি কালভার্ট পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু করে। পুরোনা কাজের কারণে নতুন করে সরেজমিন পরিদর্শনের প্রয়োজন বোধ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আগামী অক্টোবরের মধ্যেই নির্মাণাধীন কালভার্ট দুটিতে সংযোগ সড়ক স্থাপন করে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম সামসুজ্জোহা বলেন, 'রাস্তার দুপাশে যেন পানি যাওয়া-আসা করতে পারে তাই আশির দশকে দুটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। কালভার্ট দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে। এক সময় এখানে পানি থাকলেও বর্তমানে নেই। যেহেতু পানির প্রবাহের উৎস আছে, তাই কালভার্ট দুটি বাদ দেওয়া হয়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'এটা যেহেতু নতুন প্রকল্প না, তাই প্রকল্পপূর্ব জরিপ করার প্রয়োজন ছিল না। পুরনো নকশায় নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।'
ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ বলেন, 'যেখানে পানি নেই, সেখানে দুটি কালভার্টের প্রয়োজন ছিল না। একটি দিয়ে ভালো মতো চালানো যেত। একই জায়গায় দুটি বড় কালভার্ট নির্মাণ করে সরকারি অর্থ নষ্ট ছাড়া কিছুই নয়। এই নির্মাণ কাজ শুরু করার আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা উচিত ছিল।'