X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা পাচারকারীদের কাছেও আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন ওসি প্রদীপ!

আবদুল আজিজ, কক্সবাজার
১২ আগস্ট ২০২০, ২০:১১আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২০, ২২:১৪

 

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আইনের ভেতরে থেকেই আইন বিরুদ্ধ কাজে সিদ্ধহস্ত ছিলেন কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। গ্রেফতার ও বরখাস্ত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের কথা প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগীরা। বিশেষ করে ইয়াবাসহ মাদক পাচারকারী অপরাধীদের আটক করার পর নানা ধরনের ‘ডিলে’ যেতেন তিনি এমন অভিযোগ উঠেছে। আর ‘ক্রসফায়ারে’ দেওয়ার ভয় থাকায় ওসির চাহিদা পূরণে বাধ্য হতে হতো আসামিদের। এমনকি সরকারের নির্দেশে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যেসব ইয়াবা পাচারকারী আত্মসমর্পণ করে কারাগারে আছেন, তাদের কাছ থেকেও ‘ক্রসফায়ারে’ না দেওয়ার শর্তে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন তিনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এমনকি আত্মসমর্পণকারীদের অনেকের পরিবারকে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে মাদক পাচারের সুযোগ তিনি পরবর্তীতেও দিয়েছেন এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওসি প্রদীপ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রুটিন রদবদলের সুযোগে মহেশখালী থানা থেকে ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবরে টেকনাফ থানায় ওসি হিসাবে যোগদান করেন প্রদীপ কুমার দাশ। টেকনাফে তখন নির্বাচনের প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। এর আগে থেকেই ইয়াবা কারবারিদের তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন অভিযানও পরিচালনা করা হয়। নির্বাচন শেষে ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণের বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালায় সরকার। সূত্র বলছে, ঠিক এই সুযোগটা নেন ওসি প্রদীপ। তার হাতে ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা মাদক ও ইয়াবা পাচারকারীদের তালিকা। সে তালিকা ধরে ইয়াবা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরতা দেখানো তার আইনগত কাজের মধ্যেই পড়ে। তবে এ কাজ করতে গিয়ে মাদক কারবারিদের ধরে এনে নানা ধরনের শর্তের অংকে ফেলেন ওসি প্রদীপ। এ ঘটনা ঘটে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই। 

২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণকারী এই ১০২ জনের মধ্যে ২৪ জন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা তালিকায় ‘গডফাদার’ হিসেবে চিহ্নিত ছিলেন। ওই তালিকায় টেকনাফের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম থাকলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি। তাকে অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। তবে ওই অনুষ্ঠানে সদ্য সাবেক হওয়া সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির তিন ভাইসহ পরিবারের ৮ জন সদস্য ইয়াবা কারবারি হিসেবে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় বড় বড় ইয়াবা কারবারিরা আত্মসমর্পণ করলেও তাদের অনুচর ও ছোট ছোট কারবারিরা বাইরেই রয়ে যায়।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদেরই অভিযোগ রয়েছে, তদানীন্তন সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও তার পরিবারের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে ওই পরিবার সদস্যদের বিরুদ্ধে কিছু না বললেও অন্য ইয়াবা কারবারিদের ধরার পর ‘ক্রসফায়ারের’ হুমকি দেন ওসি প্রদীপ ও তার পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এসময় প্রাণে বাঁচিয়ে দেবেন এই শর্তে তাদের অনেকের কাছে ঘুষ নেন ওসি প্রদীপ। মনের মতো টাকা না পেলে ‘ক্রসফায়ার’, ইয়াবা দিয়ে আদালতে চালান দেওয়ার মতো ঘটনাও তারা নিয়মিতভাবে ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ আছে বিভিন্ন মহলের।

অভিযোগ রয়েছে, ওসি প্রদীপ আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন ইয়াবা কারবারিদের কাছ থেকেও নিয়েছেন নানা সুবিধা। এসব আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারিদের বেশ কিছু স্বজন ওসি প্রদীপের সহযোগিতায় ইয়াবা কারবার পুরোদমে চালু রেখেছে। এছাড়াও, আত্মসমর্পণের বাইরে থাকা ছোট-বড় কারবারিদের দিয়ে টার্গেট করেন ওসি প্রদীপ। এ কাজে থানার কিছু কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে যে ফোর্স গঠন করেন তিনি সাধারণ মানুষ সেই টিমকে ভয়ের সঙ্গে বলতো ‘ওসির বাহিনী’। এই বাহিনীর মাঠ পর্যায়ের সদস্য বা সোর্স হিসেবে গ্রাম পুলিশ বা দফাদার, স্বর্ণকার, দোকানদার এমন অনেক পেশার লোক জড়িত ছিল। ওসির সোর্সরাও এসময় অপরাধী-নিরপরাধ নানা ধরনের মানুষকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে পুলিশের পাশাপাশি ফায়দা নিয়েছেন। আর ওসি প্রদীপ এদের ধরে এনে টেকনাফ থানার তৃতীয় তলায় ‘ইন্টারোগেশন’-এর নামে নির্যাতন করে নানা ধরনের ‘ডিল’ করে দু’হাতে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছেন। মাদক কারবারিদের উপার্জিত অবৈধ অর্থের পুরোটা কব্জা করতে এদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালাতো ওসি প্রদীপ ও তার বাহিনী। চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারলে ইয়াবা কারবারি অন্যদের কপালে জুটতো কথিত ‘ক্রসফায়ার’। পরিবারগুলোর দাবি, এদের মধ্যে অনেক নিরপরাধও ওসির হাতে এভাবে নিগৃহীত হয়েছেন।

ওসি প্রদীপকে ‘কন্টাক্ট কিলার’ উল্লেখ করে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর চৌধুরী বলেন, ‘উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে ওসি প্রদীপ। বদির ভাই, স্বজন ও বদির সমর্থিত কিছু লোককে আত্মসমর্পণ ও কিছু লোককে প্রকাশ্যে চলাফেরার সুযোগ দিয়ে অন্যদের ‘ক্রসফায়ার’ দিয়ে হত্যা করেছে। আর যেসব ইয়াবা কারবারি ওসি প্রদীপ ও বদির মদতে বাইরে রয়েছে, তাদের মাধ্যমে এতদিন সীমান্তপথে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা পাচার করে এর বখরা হাতিয়ে নেয় তারা।’

২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা (ফাইল ছবি)

নুরুল বশর আরও অভিযোগ করেন, ‘বদির চার ভাই আত্মসমর্পণ করে জেলে থাকলেও মুজিবুর রহমানসহ অনেকেই প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। প্রকাশ্যে ঘুরছে বদির স্বজন আবু সৈয়দ মেম্বার ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ। বদির ফুফাতো বোনের স্বামী হায়দার আলী ওসি প্রদীপের হয়ে ইয়াবা কারবারিদের কাছ থেকে চাঁদা তোলে প্রকাশ্যে। এটিই প্রমাণ করে ওসি প্রদীপকে সাবেক এমপি বদির স্বজনরা সহযোগিতা দিয়ে আসছে। বিশেষ করে নিরীহ মানুষ জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিয়ে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যার ঘটনা অহরহ। এছাড়াও জমিজমার বিরোধ নিয়ে কোনও ঘটনায় একপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অন্য পক্ষকে ‘ক্রসফায়ার’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আনু মিয়ার দুই ছেলে কৃষক আবুল কাছিম ও মোহাম্মদ হোসেনকে ক্রসফায়ারে হত্যার দৃষ্টান্ত দিয়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

টেকনাফ কাটাবনিয়া এলাকার ওই সময়ে আত্মসমর্পণকারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা পাচারকারী শওকত আলমের পিতা আব্দুল মাজেদ মুঠোফোনে জানান, ‘‘আমার তিন ছেলে দুই মেয়ে। এরমধ্যে শওকত আলম দেড় বছর ধরে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে রয়েছে। বড় ছেলে মো. আলমগীরকে আমার চিংড়ি প্রজেক্ট থেকে ওসি প্রদীপসহ একদল পুলিশ আটক করে ‘ক্রসফায়ার’ দেওয়ার জন্য নিয়ে যায়। পরে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ছেলে জানে রক্ষা পেলেও ১ হাজার পিস ইয়াবা দিয়ে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন জেল খেটে আমার বড় ছেলে বর্তমানে এলাকায় রয়েছে। আমার ছেলে কোনোভাবে ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত নয়।’’

টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ডেইলপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার সুলতান আহমদ বলেন, ‘‘আমার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমাদের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে অসংখ্য মামলা রয়েছে। এমনকি আমার বিরুদ্ধেও ১৯টি মামলা রয়েছে। সে সুযোগে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ প্রতিনিয়ত ‘ক্রসফায়ার’ দেওয়ার হুমকি দিতো। এ কারণে গত বছর আমার ভাই জাফর আলম আত্মসমর্পণ করে। তা না হলে আমার ভাইকে ওসি প্রদীপ এতদিনে মেরে ফেলতো। বর্তমানে আমার ভাইয়ের পরিবারকে আমাদের দেখাশোনা করতে হয়। তারা খুবই কষ্টে রয়েছে।’’

সুলতান আহমদ মেম্বার আরও অভিযোগ করেন, ওসি প্রদীপ স্থানীয় দফাদার আলী আহমদের সহায়তায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ কারণে ওসি প্রদীপ খুব অল্প সময়ে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছে। একইভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে ওসি প্রদীপকে সহায়তাকারী দফাদার আলী আহমদও।’

 

আত্মসমর্পণ করা ইয়াবা কারবারিরা। (ফাইল ছবি)

টেকনাফ কচুবুনিয়া এলাকার ইয়াবা কারবারি সৈয়দ নুর আত্মসমর্পণ করে এখনও জেলে। তার ভাই আবুল কালাম জানান, ‘আমার ভাই ইয়াবা কারবারি নয়। এটি পুলিশের সাজানো নাটক। যারা প্রকৃতপক্ষে ইয়াবা কারবারি, পুলিশ তাদের ধরে না। প্রতিদিন ইয়াবা কারবারিরা সীমান্তপথে ইয়াবার কারবার এখনও করছে। ওসি প্রদীপের ছত্রছায়ায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ইয়াবা পাচারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।’

আরেক আত্মসমর্পণকারী মো. বশরের বাবা সৈয়দুল ইসলাম বলেন, ‘আমার নিরীহ ছেলে এখনও কারাগারে। অভাবের কারণে গত ১০ মাস ধরে ছেলেকে কারাগারে দেখার সুযোগ হয়নি। আমার ছেলে মাছ ধরে জীবনযাপন করতো। এলাকায় বশর নামে এক ইয়াবা কারবারি ছিলেন। তার জায়গায় আমার ছেলে বশরকে ফাঁসানো হয়েছে। মূলত সেখানকার এক ইউপি সদস্যের ছেলে মেরিন ড্রাইভ থেকে মাদক পাচার করতো। তাদের সঙ্গে ইয়াবা কারবারি বশরের সম্পর্ক ছিল। তাদের কাছ থেকে পুলিশ মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে পলাতক আসামি করে।’ 

তাহলে আপনার ছেলে আত্মসমর্পণ করেছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দুল আরও বলেন, ‘মামলায় আসামি হওয়ায় ছেলে দিন রাত প্রাণভয়ে ছিল। কেননা, ওসি প্রদীপ কাউকে ‘ক্রসফায়ার’-এ দেওয়ার আগে যেকোনও মামলায় আসামি বানিয়ে দেয়। এরপর গুলি করে হত্যা করে। এমন ঘটনা তার এলাকা আরও হয়েছে।  ভয়ে প্রাণরক্ষায় ছেলে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।’

তবে এসব অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ওসি প্রদীপ কারাগারে, টেকনাফ থানার অন্য একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের ফোনে পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, তার স্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার, বদির ভাই মুজিবুর রহমানসহ অন্যদের সঙ্গ যোগাযোগ করলেও কেউ ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য, ওসি হিসেবে তখন সরকারের খাতায় সুনাম থাকলেও প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে তার আগের কর্মক্ষেত্র মহেশখালী থানাতেও  ‘ক্রসফায়ার’ আর সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। আর টেকনাফ থানায় তার ২২ মাস দায়িত্ব পালন কালীন সময় পর্যন্ত ১৪৪টি ‘ক্রসফায়ার’-এর ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছে ২০৪। এরমধ্যে শুধু ওসি প্রদীপের মিশনের শিকার হয়েছে ১৬১ জন। তবে  নিয়ে কারও কারও হিসেবে ক্রসফায়ারে নিহতের সংখ্যা ১২৩ জন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ ও দায়িত্বরত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জনকে আসামি করে সিনহার বোন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৯ পুলিশ সদস্যকেই বরখাস্ত করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫। ওই মামলায় ওসি প্রদীপসহ ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড ও অন্য আসামিদের দুদিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামি এখনও কারাগারে রয়েছে। একই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় ৯ আগস্ট সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ ও ১০ আগস্ট সাহেদুল ইসলাম সিফাত জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান।

/টিএন/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করল ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভস্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করল ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
বৈশাখী মেলায় গানের আয়োজন, কমিটির সঙ্গে দর্শকদের সংঘর্ষে নিহত ১
বৈশাখী মেলায় গানের আয়োজন, কমিটির সঙ্গে দর্শকদের সংঘর্ষে নিহত ১
হলিউডের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ক্যাটরিনা!
হলিউডের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ক্যাটরিনা!
হলও ছাড়েননি আন্দোলনেও নামেননি চুয়েটের শিক্ষার্থীরা
হলও ছাড়েননি আন্দোলনেও নামেননি চুয়েটের শিক্ষার্থীরা
সর্বাধিক পঠিত
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!