নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা নদীর নুনেরটেক এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক। রবিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গ্রামবাসীর পক্ষে চেয়ারম্যান এ স্মারকলিপি দেন। এছাড়া তিনি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্যসহ ৮টি কার্যালয়ে অনুলিপি দিয়েছেন।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে দেওয়া স্মারকলিপিতে ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হক উল্লেখ করেন, বারদী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নুনেরটেক, রঘুনার চর, গুচ্ছগ্রাম, সবুজবাগ ও শান্তিবন গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদী। মেঘনা নদীর নুনেরটেক এলাকায় পাশের মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লতিফ সরকার ও তার লোকজন রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। বালু উত্তোলনের কারণে নুনেরটেক এলাকায় ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বসত বাড়ি, বাড়ি ও কৃষিজমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, নুনেরটেক একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরিত হচ্ছে। এ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসেন। বালু উত্তোলনের ফলে নুনেরটেক বিলীন হলে পর্যটন কেন্দ্র বিলীন হয়ে যাবে।
বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক বলেন, চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লতিফ সরকার ও তার লোকজন ২০-২৫টি শক্তিশালী ড্রেজারের মাধ্যমে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করলে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন।
চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লতিফ সরকার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি নির্দিষ্ট ইজারা মূল্য দিয়ে বালু মহাল ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করি। আমার ইজারাকৃত স্থানে বালু উত্তোলন করি। নুনেরটেক এলাকায় বালু উত্তোলন করি না।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নুনেরটেক এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন যে কোন মূল্যে বন্ধ করা হবে। ইতোমধ্যে এসিল্যান্ডকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।