বজ্রাঘাতে জামালপুর ও কুড়িগ্রামে এক কৃষক এবং এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) পৃথক বজ্রাঘাতের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চার জন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জামালপুর প্রতিনিধি জানান, সরিষাবাড়ীতে বজ্রাঘাতে বাবর আলী (৫৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। দুপুরে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের ছাতারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষক ওই গ্রামের মৃত জালাল সোনারুর ছেলে। অপরদিকে একইদিন উপজেলার পৃথক স্থানে বজ্রাঘাতে আরও চার জন আহত হয়েছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতপোয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কৃষক বাবর আলী কৃষিকাজ করতে মাঠে যান। এসময় বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অপরদিকে গৃহস্থালি ও কৃষিকাজ করতে গিয়ে উপজেলার বিভিন্নস্থানে বজ্রাঘাতে নারীসহ চার জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন, সাতপোয়া ইউনিয়নের ছাতারিয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে জহুরুল ইসলাম জহু (৩৫), একই গ্রামের দুলাল সোনারুর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৬০), একই ইউনিয়নের চর রৌহা গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে লিয়াকত হোসেন (৬০) ও ডোয়াইল ইউনিয়নের ডিক্রিবন্দ গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী হাসি বেগম (৪৫)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, ফুলবাড়ীতে বজ্রাঘাতে আরিফ হোসেন (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ৮ টায় উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বানিয়াটারী এলাকায় বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত আরিফ হোসেন ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ও ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টি আসায় চর-কুটিবাড়িতে তাদের একটি শ্যালো মেশিন পলিথিন দিয়ে ঢাকতে যায় আরিফ। এসময় নীলকমল নদী দিয়ে কলার ভেলায় করে যাওয়ার পথে বজ্রাঘাতে তিনি নদীতে পড়ে যান। পরে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন।