X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

বর্ষায় তরমুজের বাম্পার ফলনে ২০ গুণ লাভের আশা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:৪৬আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:৫২

তরমুজের ফলনে সন্তুষ্ট কৃষক পটুয়াখালীর গলাচিপায় বর্ষা মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলনে খরচের ২০ গুণ লাভের স্বপ্ন দেখছেন তরমুজ চাষি মো. জাহাঙ্গীর ফরাজী। উপজেলার গ্রামর্দ্দন গ্রামে ২০ শতক জমিতে মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচে তিনি এই ফলন পেয়েছেন। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়েও সঠিক পরিচর্যার কারণে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে তিনি ৪ লাখ টাকার ওপরে লাভের সম্ভাবনা দেখছেন।





সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রতনদি-তালতলী ইউনিয়নের গ্রামর্দ্দন গ্রামের আব্দুল মজিদ ফরাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর ফরাজী তার ২০ শতক জমিতে মাটির বেড তৈরি করে তরমুজের বীজ বপন করেছেন। মাটির বেডের ওপরে কট সুতার জাল দিয়ে মাঁচা তৈরি করে দিয়েছেন যাতে তরমুজ গাছের লতা মাঁচার ওপরে বাড়তে পারে। মাঁচার সাহায্যে বেড়ে ওঠা শূন্যে ঝুলে থাকা প্রতিটি তরমুজ আবার নেট জালি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন প্রায় ৮ কেজি।

প্রতিদিন ওই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সের লোকজন জাহাঙ্গীর ফরাজীর তরমুজ খেত দেখতে এসে ভিড় করেন। এতে অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ফলে আগামী বছরে এই অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে তরমুজের চাষ বেড়ে যাবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।

তরমুজ চাষি জাহাঙ্গীর ফরাজী জানান, তরমুজ চাষে তার ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আষাঢ় মাসের প্রথম দিকে তিনি তরমুজের চাষ শুরু করেন। আশ্বিন মাসের প্রথম দিকে তিনি এক হাজার পিস বড় তরমুজে জালি বেঁধেছেন। ৬০ টাকা কেজি দরে প্রতিটি তরমুজের বাজার মূল্য হবে ৪২০ থেকে ৪৮০ টাকা। ওই হিসেবে কম হলেও তার তরমুজ বিক্রিতে চার লাখ টাকার ওপরে লাভ হবে। এমনটাই আশা করছেন তিনি।

জাহাঙ্গীর ফরাজী বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে তরমুজের এমন বাম্পার ফলন হবে ভাবতেও পারি নাই। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও কঠোর পরিশ্রমের ফলেই আমি সফলতা পাইছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে খেতের সব তরমুজ বাজারে বিক্রি করতে পারবো।’

তরমুজের ফলনে সন্তুষ্ট কৃষক পটুয়াখালীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তরমুজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। ক্রেতা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমাদের পটুয়াখালীতে বর্ষা মৌসুমে তরমুজ হইলে এখানকার চাষিরা লাভবান হবে। আমরাও সুলভ মূল্যে তরমুজ কিনতে ও বিক্রি করতে পারবো।’

পটুয়াখালী সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিভাগের প্রভাষক মো. সোলায়মান বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জাহাঙ্গীরের খেতে তরমুজ ভালো হয়েছে। তরমুজ গাছে যখন ফুল থাকে বা ফল ছোট থাকে তখন বৃষ্টি হলে ফুল-ফল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিগত বছরের মতো এবছর ভাদ্র মাসে বৃষ্টি হয়নি। আর এই সময়ই জাহাঙ্গীরের তুরমুজ গাছে ফুল-ফল আসে।’

এই ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জাহাঙ্গীর একটি ভাল উদ্যোগ নিয়েছেন। একাধিকবার তার তরমুজ খেত আমি পরিদর্শন করেছি। বর্ষা মৌসুমে জাহাঙ্গীরের মতো অন্য কৃষকদেরকেও তরমুজ চাষে উৎসাহিত করা হবে। জাহাঙ্গীরকে নানা ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ করা হবে।’


/এনএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুলাই, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুলাই, ২০২৫)
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
পাবনায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
পাবনায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি