X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘ভুল চিকিৎসায়’ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
২৮ অক্টোবর ২০২০, ০৪:৩৮আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২০, ০৪:৩৮

‘ভুল চিকিৎসায়’ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে মামলা নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) নবজাতকটির দাদি তাহেরা বেগম নয়ন (৫১) বাদী হয়ে নোয়াখালীর সিনিয়র বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলী আদালতে এই মামলা করেন।

মামলায় হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডের ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স বিথীকা রাণী হাওলাদার (৪৮), গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. লাইনুন নাহার ও ডা. নাছির (ইন্টার্ন), সিনিয়র নার্স সামছুন নাহার, মমতাজ বেগম, ম্যাটস ছাত্র নাইম, আয়া পুতুল রানী, জহুরা ও মারজাহানকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার কপি ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর ভোর ৫ টায় জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তাহেরা বেগম (৫১) তার অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গাইনি বিভাগে ভর্তি করেন। কিন্তু হাসপাতালের ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স বিথীকা রাণী হাওলাদারকে বার বার ডাকার পরও তিনি ঘুম থেকে ওঠেননি। এক পর্যায়ে নার্স বিথীকা রাণী ঘুম থেকে উঠে ইন্টার্ন চিকিৎসক নাছির ও আয়া মারজাহানের যোগসাজশে জানান, তাদের টাকা দিলে তারা নরমাল ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করবেন। টাকা না দিলে সিজার হবে এবং প্রাইভেট হাসপাতালে নিতে হবে।

এ সময় গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. লাইনুর নাহারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি হাসপাতালে আসেনি। ম্যাটস ছাত্র নাইম ভিকটিমের লজ্জা স্থানের ভিডিও করেন। ভিকটিমের শাশুড়ি প্রতিবাদ করেলে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের ট্রেনিংয়ের জন্য লাগবে।’

সিনিয়র ডাক্তার নার্স টিউটিতে থাকার পরও সহকারী আয়া ও ম্যাটস এর ছাত্র দিয়ে ডেলিভারি করানো হয়েছে। নবজাতকের ঘাড় ধরে জোর করে টেনে ডেলিভারি করানো হয়। এ সময় নবজাতকটির মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কালো হয়ে রক্ত জমাট বেধে যায়। দু’জন আয়া টেনে হিঁচড়ে প্রসবের সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে জীবিত পুত্র সন্তান প্রসবের মাত্র ২-৩ মিনিটের মাথায় মারা যায়।

ভিকটিমের শাশুড়ি তার পুত্রবধূর শরীর থেকে বের হওয়া রক্তের ছবি ফোনে ধারণ করলে তাকে একটি কক্ষে আটকে ভিকটিমের কাগজপত্র লুকিয়ে ফেলেন অভিযুক্তরা। এসব বিষয়ে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারকে অবহিত করলে তিনি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ ঘটনায় সুধারাম থানায় মামলা করতে চাইলেও পুলিশ মামলা নিতে চাননি। পরে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী পরিবার আদালতে মামলা দায়ের করে।

মামলার কপি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মো. আবদুল আজিম বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবারের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনায় ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডের ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স বিথীকা রাণী হাওলাদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। আমি ওই মুহূর্তে ছিলাম না এবং আমার ডিউটি সকাল ৮টা থেকে ছিল।’

/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ