ভারতে পালিয়ে গিয়ে খাসিয়াদের হাতে আটক হওয়া এস আই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে দেশে ফেরত পাঠানো ও পুলিশের হাতে তুলে গ্রেফতার হওয়ার খবর শুনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রায়হানের মা সালমা বেগম ও স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।
আকবরকে গ্রেফতারের পর সোমবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে এক প্রতিক্রিয়ায় তারা এসব কথা বলেন।
রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, আমার ছেলে রায়হানকে যেমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল এভাবে যেন আর কোনও মায়ের বুক খালি না হয়। তিনি তার ছেলে রায়হানের হত্যাকারী এস আই আকবরের বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি জানান এবং এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় তিনি বলেন, আকবর পুলিশ নামের কলঙ্ক। সে একজন অপরাধী। আমার নিরপরাধ ছেলেকে হত্যা করার কারণেই সে পালিয়েছে। আমরা তার ফাঁসি চাই।
রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বলেন, আকবর ধরা পড়ায় আমরা খুশি। আমরা চাই সঠিক বিচার হোক। রায়হানকে যেভাবে আকবর ও তার সহযোগীরা অত্যাচার করে মেরেছেন, প্রয়োজনে জনতার সামনে আকবরসহ তাদের এভাবে বিচার করে মারা হোক।
তিনি বলেন, আমার স্বামী হত্যার মামলাটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হোক। তাহলে এই মামলা আরও দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। আকবরের সকল সহযোগীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এর আগে সোমবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তে ভারতে পালিয়ে গিয়ে ভারতীয় খাসিয়াদের হাতে আটক হন এস আই আকবর। সেখানে যাওয়ার পর খাসিয়ারা তাকে চিনে ফেলেন। এরপর তাকে বেঁধে ফেলেন তারা। তাকে আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আকবরকে তারা দেশে ফেরত দেওয়ার জন্য হাত-পা বাঁধছেন। এ সময় আকবরকে ১০ হাজার টাকার জন্য মানুষ খুন করার ঘটনায় তিরস্কারও করেন তারা।
এদিকে, আকবর গ্রেফতারের পর বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে তার ভাইয়ের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। ফলে তাদের কারও প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন:
‘সিনিয়র অফিসারের পরামর্শে পালিয়েছিলাম’ (ভিডিও)
আকবরকে পালাতে সহযোগিতা করায় আরেক এসআই বরখাস্ত
রায়হান হত্যার সুষ্ঠু বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এসআই আকবরের টর্চার সেলের নাম ‘ভিআইপি রুম’!
রায়হানের লাশ তুলে ফের ময়নাতদন্ত করবে পিবিআই
পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যু: ৪ পুলিশ বরখাস্ত, ৩ জনকে প্রত্যাহার