আগামী ১৬ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল রবিবার (২০ ডিসেম্বর)। এ দিন মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রাহী প্রার্থী দলীয় নেতাকর্মীদর নিয়ে শোডাউন করে মোননয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এ সময় জেলা নির্বাচন অফিস থেকে শুরু করে শাপলা চত্বর পর্যন্ত সড়ক ব্যবহারকারীদের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। তবে এ বিষয়ে প্রশাসন কিংবা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনও কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর পৌর নির্বাচন আচরণবিধির ১১ এর ১ এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলর সময় কোনও প্রকার মিছিল, মিটিং ও শো-ডাউন করা যাবে না উল্লেখ রয়েছে। তবে খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচন অংশগ্রহণের জন্য যেসব মেয়র প্রার্থীরা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন তাদের সবাই দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে শো-ডাউন, মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে নারায়ণখাইয়া জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আসেন। এ সময় তাকে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস দিয়ে শো-ডাউন করতে দেখা যায়। তার কিছু পর দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের শোডাউনে নারিকেল বাগান হতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় পর্যন্ত সড়ক দীর্ঘ যানজটে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে শো-ডাউন করতে করতে শাপলা চত্বরের দিক আসতে দেখা যায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের। দুপুর আড়াইটার দিকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। পৌরসভা কার্যালয় থেকে সমর্থকদর নিয়ে পায়ে হেটে শো-ডাউন করে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান রফিকুল আলম ও তার অনুসারীরা। বিকাল ৫টার কিছু আগে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন খাগড়াছড়ির সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন আহমদ জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে কমিশন ও প্রশাসনের যেমন ভূমিকা রয়েছে তেমনি প্রার্থীদেরও দায়িত্ব সঠিক পরিস্থিতি বজায় রাখা। আচরণবিধির বিষয়ে প্রার্থী ও সংশ্লিষ্টদের আরও নজরদারি রাখতে হবে।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমদ জানান, মনোনয়নপত্র দাখিল করতে এসে আচরণবিধি লঙঘন করেছেন বলে শুনেছি। কিন্তু মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ৫ জনের অধিক কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।