ফেসবুকে পরিচয়ের পর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সৌদি প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ের নাটক সাজিয়ে ২৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণী ও তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে জয়পুরহারের পাঁচবিবি থানা পুলিশ। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে পাঁচবিবি উপজেলার মালঞ্চা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পাঁচবিবির মালঞ্চা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইমদাদুল হক, তার স্ত্রী রুবিনা বেগম ও তাদের মেয়ে কথিত ওই বিয়ের কনে শবনম মুস্তারি এমি (২০)।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকের মাধ্যমে শবনম মুস্তারি এমির সঙ্গে প্রায় পাঁচ বছর আগে পরিচয় হয় লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চর মোহনা গ্রামের সৌদি প্রবাসী যুবক কাজী হারুন ওরফে সাগরের। পরে ঘনিষ্ঠতার এক পর্যায়ে চার বছর আগে মোবাইলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাকে বিয়ে করে এমি। বিষয়টি এমির বাবা-মাও জানেন। গত চার বছর ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও বিকাশের মাধ্যমে এমি ও তার বাবা-মাকে ২৬ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেন সাগর।
গত ১৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরে সাগর পাঁচবিবির মালঞ্চা গ্রামে আসলে এমিসহ তার পরিবার বিয়ের কথা অস্বীকার করে। এ অবস্থায় প্রবাসি ওই যুবক বিয়ে এবং টাকা পাঠানোর সব প্রমাণ উপস্থাপন করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতে মালঞ্চা গ্রামে অভিযান চালিয়ে এমি ও তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করে।
মামলার বাদী কাজী হারুণ ওরফে সাগর মোবাইল ফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে এমির সঙ্গে প্রায় পাঁচ বছর আগে পরিচয় হয়। এরপর প্রতিদিনই তার সঙ্গে কথা হতো। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ অবস্থায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমরা উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর গত চার বছরে তাকে ২৬ লাখ টাকা দেই। বিষয়টি তারা বাবা-মা’ও জানেন। অথচ বিদেশ থেকে আসার পর এ মাসের ১৫ ডিসেম্বর তাদের বাড়ি গেলে বিয়ের কথা তারা অস্বীকার করে। বাধ্য হয়ে আমি তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করে থানায় অভিযোগ করি।’
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’