X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

নেপাল থেকে তারা এখন না ফেরার দেশে

আনোয়ার হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
১৩ মার্চ ২০১৮, ২১:০১আপডেট : ১৩ মার্চ ২০১৮, ২১:০৬

নজরুল ইসলাম, আকতারা বেগম, বিলকিস আরা বানু ও হাসান ইমাম নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই জোড়া দম্পতির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন স্বজনরা। এদের মধ্যে দুই জনের বাড়ি গোমস্তাপুর উপজেলায়। আর এক জনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটি গ্রামে। চারজনই অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী এবং রাজশাহী শহরের উপশহর ও শিরোইলে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। তাদের মৃত্যুর খবরে এখন শোকস্তব্ধ চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাদের স্বজনরা।

নিহতরা হলেন- গোমস্তাপুর উপজেলার বাংগাবাড়ি ইউনিয়নের বেগুনবাড়ি গ্রামের আকতারা বেগম ও নজরুল ইসলাম দম্পতি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটি গ্রামের বিলকিস আরা বানু ও হাসান ইমাম। তবে হাসান ইমামের দেশের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়। বৈবাহিক ও চাকুরিসূত্রে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বাস করতেন। চাকরিসূত্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারা অবস্থান করলেও অবসরের পর চারজনই রাজশাহীতে বসবাস করছিলেন।  

নজরুল ইসলাম ও আকতারা বেগমের দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে গৃহিনী ও ছোট মেয়ে ডাক্তার। অন্যদিকে বিলকিস ও হাসান ইমাম দম্পতির দুই ছেলে দুজনেই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ও কানাডায় বাস করেন। 

শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত তাজিমুল মাস্টারের মেয়ে নিহত আকতারা বেগম পেশায় ছিলেন একজন শিক্ষক। তিনি রাজশাহী মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত গেম টিচার ছিলেন।  

আর গোমস্তাপুর উপজেলার বাংগা বাড়ির বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম মাস্টারের ছেলে নিহত নজরুল ইসলাম রাজশাহী শিল্প ব্যাংকে চাকরি করতেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন।

আকতারা বেগমের ভাগ্নে খালিদ মাহমুদ জানান, ‘চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর  খালা-খালু নেপালে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের আর বেড়ানো হলো না। তারা চলে গেলেন না ফেরার দেশে।’ তিনি আরও বলেন, ‘খালা-খালু রাজশাহীতেই বসবাস করতেন। এ দুর্ঘটনায় আমরা মর্মামত। আত্মীয়-স্বজন এখন লাশের অপেক্ষায়।’

অন্যদিকে,  চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটি গ্রামের মৃত. আব্দুর রকিব আলীর মেয়ে নিহত বিলকিস আরা বানু পেশায় ছিলেন কলেজ শিক্ষক। তিনি  গোপালপুর কলেজের অর্থনীতির শিক্ষক ছিলেন। আর তাঁর স্বামী হাসান ইমাম ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব।

বিলকিস আরা বানুর মামাতো বোন আকতার জাহান আলী জানান, ‘তারা অবসরের পর দীর্ঘদিন ধরেই রাজশাহীতে বসবাস করতেন। তাদের দুই ছেলে কানাডায় চাকরি করেন। আর কিছুদিন পরই তাদের বড় ছেলের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ছেলের বউ দেখে যেতে পারলেন না। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।’

তিনি আরও জানান, ‘এ ঘটনায় আমরা খুবই শোকাহত। আমরা এখন চাই তাদের লাশগুলো দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।’

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
ইউএস বাংলার সার্ভিসের মান মনিটরিং করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি
‘তারা কীভাবে জানলো পাইলট ধূমপান করছিলেন’
নেপালে বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের দেরিতে সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ
সর্বশেষ খবর
বজ্রাঘাতে প্রাণ গেলো ১০ জনের
বজ্রাঘাতে প্রাণ গেলো ১০ জনের
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
বাবাকে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ মিললো নদীতে
বাবাকে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ মিললো নদীতে
বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম