X
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

বর্ষা আত্মহত্যা মামলায় ছয় আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন

রাজশাহী প্রতিনিধি
২০ মে ২০১৯, ১২:৩৪আপডেট : ২০ মে ২০১৯, ২০:৪৯

বর্ষা ও মৃত্যুর আগে তার রেখে যাওয়া চিরকুট রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় যৌন নির্যাতনের বিচার না পেয়ে সুমাইয়া আক্তার বর্ষার (১৪) আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ছয়জনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। তবে রিমান্ডের ওপর শুনানি হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন।

তিনি বলেন, ২৩ এপ্রিল অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এরপর ১৭ মে আত্মহত্যায় প্ররোচনার আরেকটি মামলা করেছেন বর্ষার বাবা। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে দুই মামলার ১৫ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি মুকুলকে অপহরণ এবং তার নানী সখিনা, খালু আব্দুর রহমান, খালাতো ভাই রাব্বী, প্রতিবেশী লিটন ও সাজুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপহরণে সহায়তাকারী সোনিয়া জামিনে রয়েছেন। তবে তার ওপর পুলিশি নজরদারি রয়েছে। এছাড়া অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে সন্ধ্যায় মোহনপুর উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে বাকশিমইল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বর্ষার লাশ উদ্ধার করা হয়। বর্ষা নিজ রুমে গলায় ওড়নায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুটে নিপীড়নের বিচার না পাওয়ার কথা লিখে গেছে।

বর্ষার বাবা আবদুল মান্নান জানান, তার মেয়েকে সোনিয়ার মাধ্যমে অপহরণ করে শহরে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে মুকুল। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। আপসের কথা বলে আসামিদের আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এতে ক্ষোভে-অভিমানে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর ব্যবস্থা নিলে বর্ষাকে মরতে হতো না।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘মেয়েটি অসুস্থ থাকায় তাকে আমি নিজেই রাজশাহী মেডিক্যালে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম, আগে সে সুস্থ হোক পরে মামলার বিষয় দেখা যাবে।’

বর্ষার মা ফরিদা বেগম স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মীকে বলেন, ‘তাদের কোনও ছেলে সন্তান নেই। তিনজনই মেয়ে। বর্ষা সবার ছোট। পাশের বাড়ির মুকুল দীর্ঘদিন ধরে বর্ষাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু বর্ষা তাকে পাত্তা দেয়নি। সে এসবের প্রতিবাদ করে আসছিল। বাড়ির বাইরে গেলেই তাকে নানাভাবে হেনস্তা ও উত্ত্যক্ত করতো মুকুল। এছাড়াও মুকুলের নামে মামলা করায় এবং তাকে জেলহাজতে নেওয়ায় তার মা কাজল রেখা বর্ষাকে বকাঝকা করতো।’

মোহনপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা খাতুন রিক্তা বলেন,‘বর্ষার পরিবার বখাটে মুকুলে বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ করেছিল। ইউএনও এবং আমার কাছে অভিযোগ করার পর পুলিশও এসেছিল। তাকে অভয় দিয়ে গিয়েছিল। এরপরও সে লাঞ্ছনা ও অপবাদ থেকে রেহাই পায়নি। প্রতিবেশী হওয়ায় সবসময় বর্ষাকে গালাগাল করতো মুকুলের স্বজনরা। মুকুল ও তার পরিবার বর্ষাকে আত্মহত্যায় বাধ্য করেছে। এর বিচার চাই।’

/জেবি/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মঙ্গোলিয়ার দাবাড়ুকে হারিয়ে ফাহাদের মুখে হাসি
মঙ্গোলিয়ার দাবাড়ুকে হারিয়ে ফাহাদের মুখে হাসি
চেয়ারম্যান হলেন ৯ এমপির স্বজন, হেরেছেন দুজন
চেয়ারম্যান হলেন ৯ এমপির স্বজন, হেরেছেন দুজন
পিছিয়ে পড়েও জোসেলুর জোড়া গোলে ফাইনালে রিয়াল
চ্যাম্পিয়নস লিগপিছিয়ে পড়েও জোসেলুর জোড়া গোলে ফাইনালে রিয়াল
চেয়ারম্যান হলেন এমপির ছেলে ও ভাই
চেয়ারম্যান হলেন এমপির ছেলে ও ভাই
সর্বাধিক পঠিত
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার