প্রতারণার মামলায় ১৮ বছরের সাজা এড়াতে দেশে-বিদেশে আট বছর পালিয়ে থেকেও রেহাই পাননি রেজাউল করিম (৫০) নামে এক ব্যবসায়ী। রবিবার (৮ মে) রাতে তাকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ মে) আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
রেজাউল করিম বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ার মৃত সদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্টেশন রোডে রেলওয়ে মার্কেটে গ্যাস ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ ও পরে বিসিক এলাকায় কাস্টিং ঢালাই কারখানার ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ব্যবসার সুবাদে বিভিন্ন ব্যক্তি ও অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন রেজাউল। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ৫০ লাখ, মাইডাস নামে একটি প্রতিষ্ঠান আড়াই লাখ, টিএমএসএস সাড়ে তিন লাখ ও মাটিডালির এক ব্যবসায়ী ১৫ লাখ টাকা পান।
প্রতারণার শিকার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা করে। সুযোগ বুঝে রেজাউল ২০১২ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানে ৩-৪ বছর থাকার পর দেশে ফিরে আত্মগোপন করেন। ২০১৪ সালে ১০টি মামলায় আদালত তাকে বিভিন্ন মেয়াদে মোট ১৮ বছরের সাজা দেন। রেজাউল করিম এই সাজা থেকে বাঁচতে পরিচয় গোপন করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ পৌর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করেন।
সদর থানার এসআই জাকির আল আহসান জানান, রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ১০ মামলায় ১৮ বছর সাজার ওয়ারেন্ট ছিল। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। এরপর রবিবার রাত ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়া বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়।