চাল মজুত করে দাম বাড়ানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নওগাঁর বিভিন্ন চালকল এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মে) থেকে শুরু হওয়া অভিযানে বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুর পর্যন্ত ১১ উপজেলায় মোট ৪২টি মামলা দায়ের হয়েছে। বিপরীতে তিন লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার সাপাহার উপজেলায় অভিযানে চারটি মামলা ও ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় হয়, সদর উপজেলায় দুটি মামলা ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, মহাদেবপুর উপজেলায় দুটি মামলা ও ৯০ হাজার টাকা জরিমানা, পত্নীতলা উপজেলায় ১২টি মামলা ও দুই লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও আত্রাই উপজেলায় চারটি মামলা ও ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর আগে অভিযান চালিয়ে ১৮টি মামলা ও ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
তবে অভিযানের মধ্যেও এখন পর্যন্ত নওগাঁর খুচরা বাজারে কমেনি চালের দাম। বাড়তি দামেই চাল কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানের প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েনি। আমরা যে মোকাম থেকে পাইকারি চাল কিনি, সেখান থেকে বাড়তি দামেই বস্তা আনতে হচ্ছে। তাই আমরাও বেশি দামে খুচরা বাজারে চাল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। তবে সারা দেশে অভিযান অব্যাহত থাকলে আগামী সপ্তাহ থেকে দাম কমতে শুরু করবে বলে আশা করছি।
এদিকে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, যেভাবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে তাতে আগামী সপ্তাহের প্রথম থেকেই চালের দাম কমতে শুরু করবে বলে আশা করি। যতদিন চালের বাজার স্থির না হবে ততদিন অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বেল জানান তিনি।
তবে সরকার ও প্রশাসনের পদক্ষেপে এমন কৃত্রিম সমস্যা সমাধান হবে না জানিয়ে সবাইকে সচেতন এবং হঠকারী আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।