বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্রোতে ভেসে যেতে দেখে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় মাঝিমাল্লাসহ ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তবে নৌকা ও মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
শনিবার (১৭ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শহরাবাড়ি ও আওলাকান্দি চরের মাঝামাঝি শিমুলকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদীতে ঢেউয়ের কবলে পড়ে নৌকাটি ডুবে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।’
নৌকাডুবির দৃশ্য দেখে স্থানীয়দের নিয়ে উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দেন যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, ‘শনিবার সকালে আওলাকান্দি চরের হাফিজার রহমানের ইঞ্জিনচালিত নৌকায় শহরাবাড়ি নৌঘাট থেকে যমুনা নদীর পূর্ব তীরে বৈশাখীর চরে কৃষিকাজ করতে যান ২১ জন শ্রমিক। কাজ শেষে দুপুরে একই নৌকায় যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। দুপুর আড়াইটার দিকে শিমুলকান্দি এলাকায় পৌঁছালে নদীর স্রোতে যাত্রী ও মালবোঝাই নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় বানিয়াজান বাঁধ থেকে নৌকাডুবির দৃশ্য দেখতে পাই। প্রবল স্রোতে ভাটির দিকে ভেসে যাচ্ছিলেন নৌকার যাত্রীরা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের নিয়ে ২১ জনকে উদ্ধার করেছি। তবে নৌকা ও মালামাল উদ্ধার করা যায়নি।’
ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা বেলাল হোসেন বাবু বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিতে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। ফলে নদীতে প্রবল স্রোত বইছে। ঝোড়ো বাতাসের কারণে ঢেউয়ের ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকায় ২১ জন ছিলেন। সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।’