বগুড়ার শেরপুরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী নাজিরা খাতুনকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় স্বামী শামীম প্রামাণিককে (৩৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির এ রায় দেন। আদালতের স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, বগুড়ার শেরপুরের দক্ষিণ আমাইল গ্রামের মাসুদ প্রামাণিকের ছেলে শামীম প্রামাণিক ২০১৩ সালের প্রথম দিকে পার্শ্ববর্তী নন্দীগ্রাম উপজেলার সোহাগীপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে নাজিরা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য শামীম তার স্ত্রী নাজিরার ওপর নির্যাতন শুরু করেন। ওই বছরের ১১ মে রাতে যৌতুক নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে শামীম পিটিয়ে স্ত্রী নাজিরাকে হত্যা করেন। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা ইউসুফ আলী শেরপুর থানায় মেয়ের জামাই শামীম প্রামাণিক, তার বাবা মাসুদ প্রামাণিক, মা মনোয়ারা বিবি ও চাচা শ্বশুর নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার তৎকালীন এসআই আবু জাররা আদালতে চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ ১১ বছর শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
স্বামী শামীম প্রামাণিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তার বাবা, মা ও চাচাকে খালাস দেন আদালত।
পরে সাজাপ্রাপ্ত শামীমকে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট শেখ রেজাউর রহমান মিন্টু মামলা পরিচালনা করেন।