বগুড়ার কাহালুর মুরইল আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের কাছে সাবেক শিক্ষার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান রাজার ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অডিও রেকর্ড ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম ও যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম তাকে আজীবনের জন্য সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছেন।
সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক শাহাদত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে কামরুজ্জামান রাজাকে প্রায় চার বছর আগে কাহালু উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তিনি সম্প্রতি আবারও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে জেলা আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের নির্দেশে তাকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।
তিনি আরও বলেন, ‘যুবদলের কেউ কামরুজ্জামান রাজার সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুবদল নেতা কামরুজ্জামান রাজা বগুড়া কাহালুর মুরইল আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগে তিনি সম্প্রতি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামকে ফোন দেন।
প্রধান শিক্ষককে তিনি বলেন, ‘নিয়োগ দিয়ে অনেক টাকা কামাই করেছেন। ১৬-১৭ বছর দল ক্ষমতার বাইরে। কে কী করেছে তার লিস্ট করা হয়েছে। কত টাকা কামাই করেছেন, তা জানতে চাই না। ছেলেরা আনন্দ করবে তার জন্য ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে।’
জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘তুমি আমার ছাত্র। নিয়োগ সভাপতি দেয়। তাই চাঁদা দেওয়া সম্ভব নয়।’ তখন যুবদল নেতা কামরুজ্জামান রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষককে ক্ষতি করার হুমকি দেন।
যুবদল নেতা ও প্রধান শিক্ষকের কথপোকথনের অডিও রেকর্ডটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা যুবদল তাকে আজীবনের জন্য সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে। মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় বহিষ্কৃত যুবদল নেতা কামরুজ্জামান রাজার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।