বগুড়ার আদমদীঘিতে নাশকতার মামলায় তিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সাত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব-৪ ও পুলিশ সদস্যরা রবিবার (৩ নভেম্বর) রাতে ঢাকার মিরপুর সেনানিবাস এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেফতার করেন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকালে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তাদের বগুড়ায় আনা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন বগুড়া আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হক আবু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কুন্দুগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামিমুল হুদা খন্দকার শামীম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সান্তাহার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু, সহসভাপতি নাজিমুল হুদা খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমিনুল ইসলাম সুমন এবং সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরাম হোসেন।
পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, গত ১৯ ও ২৫ আগস্ট আদমদীঘি ও সান্তাহারে বিএনপি ও যুবদল কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় মামলা হয়। বগুড়া সদর থানার হত্যা মামলাতেও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর আসামি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদমদীঘি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলাম জানান, রবিবার রাতে র্যাব-৪ সদস্যদের সহযোগিতায় ঢাকার মিরপুর সেনানিবাস এলাকার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে দুটি নাশকতার মামলার সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।