বগুড়ার কাহালুতে চার বছরের শিশু সন্তানকে হত্যার পর মা জুলেখা খাতুনও (২৪) প্রাণ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপুইল গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বগুড়ার কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ডেপুইল গ্রামের অটোরিকশাচালক আবদুল মোমিন ২০১৯ সালে জুলেখা খাতুনকে বিয়ে করেন। মুশফিকা তাদের একমাত্র সন্তান। বৃহস্পতিবার সকালে মোমিন অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। দুপুরের আগে বাড়িতে ফোন দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের কোনও সাড়া পাননি। তিনি বাড়িতে এসে দেখেন, ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা।
খবর পেয়ে বিকাল ৩টার দিকে কাহালু থানা পুলিশ ওই বাড়িতে আসে। তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন, সন্তান মুশফিকার লাশ বিছানায় ও ঘরের আড়ার সঙ্গে জুলেখা খাতুনের লাশ ঝুলছে। পরে পুলিশ মা ও শিশুর লাশ উদ্ধার করে।
অটোচালক আবদুল মোমিন জানান, তাদের কোনও কলহ ছিল না। তবে তার স্ত্রীর প্রচণ্ড রাগ ছিল। তার ধারণা, শাসনের জন্য মারধর করলে মুশফিকা মারা যায়। তখন জুলেখা গামছা দিয়ে মেয়ের মুখ বাঁধে ও গলায় ওড়নার ফাঁস দেয়। এরপর সে নিজেই আত্মহত্যা করে।
কাহালু থানার ওসি শাহিনুজ্জামান শাহিন জানান, তাৎক্ষণিকভাবে এর কারণ জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। দুটি লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।