বগুড়ায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করা মামলার এক আসামি ছুরিকাঘাতে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাত ১২টার দিকে শহরের নূরানী মোড় এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ববি আক্তার (২৭) ওই এলাকার রোহান ব্যাপারীর (৩৫) স্ত্রী। ববির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে রোহান ব্যাপারী পলাতক রয়েছে।
পুলিশ বলছে, রোহান পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ওই মামলার পর থেকে পলাতক ছিল। রবিবার বাসায় ফিরে স্ত্রীকে হত্যা করে আবার পালিয়ে গেছে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাত বছর আগে প্রেম করে ববিকে বিয়ে করে রোহান। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়েসন্তান রয়েছে। তারা শহরের নূরানী মোড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। রোহান ও তার কয়েকজন সহযোগী মদ্যপ অবস্থায় গত ১৫ এপ্রিল রাতে শহরের কালিতলা এলাকায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় মামলা হলে রোহান আত্মগোপনে চলে যায়। সম্প্রতি রোহান বেলী নামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি স্ত্রী ববি জেনে তাকে বাধা দেন। এতে তাদের দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রোহান ক্ষিপ্ত হয়ে ববির বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা ববির চিৎকারে ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যায়। তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোহানের বাবা রবিউল ব্যাপারী ও মা পপি আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, ‘নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ ও আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’