ঈদুল আজহায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে গরু-মহিষ, চামড়া ও চোরাচালান রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। এ ছাড়া পুশইন প্রতিরোধে সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বিজিবি-১ ব্যাটালিয়ন রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিবুল হক। তিনি বলেন, রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে এ পর্যন্ত পুশইন হয়নি। দেশের বিভিন্ন স্থানে পুশইনের বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা রয়েছে।
তিনি বলেন, সীমান্তে সব ধরনের পাচার রোধে টহল বৃদ্ধি ও গোয়েন্দা নজরদারিসহ স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যেখানে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি, সেখানে বিজিবি-বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, রাজশাহী জেলার ৭৬ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা আছে। এর মধ্যে ক্যাম্প আছে ১৬টি। চেকপোস্ট আছে একটি। আরেকটি চেকপোস্ট যৌথভাবে পরিচালনা করা হয়। এই ৭৬ কিলোমিটার সীমান্ত দেশপ্রেমিক সাধারণ জনতাকে নিয়ে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঈদের পর কোরবানির চামড়া যাতে সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে যেতে না পারে সেজন্যও সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বিজিবি।
এ ছাড়া ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য বিজিবি সদস্যরা নিজেদের ছুটির চিন্তা না করে, সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ঈদ জামায়াতের নিরাপত্তা বিধানে সদা সচেষ্ট ও তৎপর আছে এবং থাকবে বলেও জানান তিনি।