বগুড়ার শাজাহানপুরে নায়েব আলী নামে দাদন ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে সুদের টাকার নিয়ে বিরোধের জেরে বাবাকে বাড়িতে না পেয়ে তার কিশোর ছেলে শান্ত কুমারকে (১৭) ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার বেজোড়া দক্ষিণ হিন্দুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শান্তকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম পলাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘রবিবার বিকাল পর্যন্ত মামলা হয়নি।’
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া দক্ষিণ হিন্দুপাড়া গ্রামের বাবলু চন্দ্র দইয়ের ব্যবসা করেন। তাকে তার ছেলে শান্ত কুমার সহযোগিতা করেন। বাবলু ব্যবসার প্রয়োজনে গত ফেব্রুয়ারিতে বেজোড়া দক্ষিণপাড়ার মৃত আবদুলের ছেলে দাদন ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্য নায়েব আলীর কাছে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন। চুক্তিমতে, প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা সুদ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নায়েব আলী চুক্তিভঙ্গ করে মাসে চার হাজার টাকা সুদ দাবি করেন। এ নিয়ে বাবলু ও নায়েব আলীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। পরে বাবলু টাকা ফেরত দিতে চাইলে নায়েব আলী সুদসহ এক লাখ টাকা দাবি করেন। এতে রাজি না হওয়ায় নায়েব আলী তাকে (বাবলু) প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এদিকে, রবিবার বেলা ১১টার দিকে দাদন ব্যবসায়ী নায়েব আলী ৪-৫ জন সঙ্গী নিয়ে বাবলুর বাড়িতে যান। দরজায় ডাকাডাকি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। এ সময় বাবলু বাড়িতে না থাকায় ছেলে শান্ত বাইরে আসে। এ সময় তারা শান্তর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। শান্তর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দই ব্যবসায়ী বাবলু চন্দ্র অভিযোগ করেন, দাদন ব্যবসায়ী নায়েব আলী কিশোর গ্যাং লালনপালন করেন। তার বিরুদ্ধে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধে অনেককে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার পর এলাকায় না থাকা ও ফোন বন্ধ রাখায় এ ব্যাপারে দাদন ব্যবসায়ী নায়েব আলীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, দাদন ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে শান্ত নামে এক কিশোর আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার বিকাল পর্যন্ত এ ব্যাপারে মামলা হয়নি। মামলা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।