X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে একযুগ ধরে বন্ধ জেনারেটর

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৭:২৯আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৭:৩১

 

 

গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল জ্বালানি তেলের বরাদ্দ না থাকায় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের জেনারেটর প্রায় একযুগ ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেনারেটর সুবিধা না পেয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের, এমনটাই জানা যায়। দীর্ঘদিন ধরে জেনারেটর বন্ধ থাকার কারণে ব্যাটারিসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী অভিযোগ করেছেন।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীনুল ইসলাম মন্ডল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,  জেনারেটর স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সময় হাসপাতালের সকল শাখায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যেন জরুরি অপারেশন কাজে বিঘ্ন না ঘটে। কিন্তু সরকারিভাবে জ্বালানি তেলের বরাদ্দ না থাকায় এটি চালানো যাচ্ছে না। এমনকি জেনারেটর চালানোর জন্য লোকবলও নেই। ফলে জেনারেটরটি রোগীদের কোনও কাজে আসছে না।

জানা যায়, বেসরকারিভাবে পাওয়া সদর হাসপাতালে ছোট দুটি জেনারেটর থাকলেও তা পুরো হাসপাতাল এলাকার বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারছে না। এতে করে হাসপাতালে আসা রোগীদের অন্ধকারে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকলে পুরো হাসপাতাল এলাকাটি ভূতুড়ে এলাকায় পরিণত হয়।

গাইবান্ধার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের জন্য ২০০৩ সালে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ডিজেল ইঞ্জিনচালিত ৪০ কিলোভোল্ট-অ্যাম্পিয়ারের (কেভিএ) একটি বিশাল আকৃতির জেনারেটর বরাদ্দ দেয়। এতে ব্যয় হয় সাত লাখ টাকা। এছাড়া জেনারেটর রাখার জন্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। বৈদ্যুতিক সামগ্রীসহ মোট ব্যয় হয় প্রায় ১৫ লাখ টাকা।

প্রায় এক যুগের বিকল পড়ে থাকা জেনারেটর

ডা. শাহীনুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ৪০ কেভিএর জেনারেটর থেকে ৩২ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এটি চালু থাকলে অপারেশন, এক্সরে মেশিন ও শীতাতপযন্ত্র চালানো ছাড়াও গোটা হাসপাতাল এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব। বর্তমানে বেসরকারিভাবে পাওয়া ছোট দুইটি জেনারেটর দিয়ে কোনমত জরুরি বিভাগ ও হাসপাতালের প্রধান ফটকে বাতি জ্বালানো হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকলে হাসপাতালের অন্য বিভাগ, রোগীদের ওয়ার্ডসহ পুরো হাসপাতাল এলাকা অন্ধকার থাকে।

গাইবান্ধা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মাহফুজুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জেনারেটরটি দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় ব্যাটারি অন্যান্য মূল্যবান যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাচ্ছে। তাই জেনারেটরটি চালুর ব্যবস্থা না করা হলে যে কোনও সময় একেবারে অকেজো হয়ে পড়বে। 

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জেনারেটরটি চালু রাখতে প্রতি ঘণ্টায় ১৩ লিটার ডিজেল প্রয়োজন। কিন্তু সিভিল সার্জন কার্যালয়ে তেল কেনার কোনও তহবিল নেই। এমনকি এটি চালানোর জন্য লোকবলও নেই। তাছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জেনারেটর দেওয়া হলেও জ্বালানি তেলের বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তবে ডিজেলের বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছে না। ফলে জেনারেটরটি বন্ধ হয়ে আছে।

/এইচকে/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
টিভিতে আজকের খেলা (৩ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৩ মে, ২০২৪)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে