X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

নব্য জেএমবির নামে মন্দিরে হামলা করিয়েছিলেন কাদের খাঁন, দাবি পুলিশের

জিল্লুর রহমান পলাশ, গাইবান্ধা
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:০৯আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:১৩

ডা. আবদুল কাদের খান

নব্য জেএমবির নামে গাইবান্ধার একাধিক মন্দিরে হামলা ও দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন সাবেক এমপি ডা. আবদুল কাদের খাঁন। এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। তার নির্দেশেই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সদর ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় বিভিন্ন মন্দিরে হামলা হয় জানিয়েছে পুলিশ।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ডা. আবদুল কাদের খাঁন। এ হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। এখন তার বিরুদ্ধে মন্দিরে আগুন ও প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে কাদের খাঁনের নির্দেশ এবং পরিকল্পনায় মন্দিরে হামলা হয়। ৯ অক্টোবর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুরের কামারপাড়া কালিমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ এ অভিযোগে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের মণ্ডলেরহাট থেকে কথিত চার নব্য জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- সুন্দরগঞ্জের ফয়সাল খাঁন ফাগুন (১৭), নজরুল ইসলাম খাঁন (৩৫), আশিকুল ইসলাম (১৬) এবং শহিদ মিয়া (১২)। এদের মধ্যে ফয়সাল কাদের খাঁনের ভাতিজা। আর নজরুল ইসলাম খাঁন তার বাড়ি দেখাশুনা করতেন।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিয়ার রহমান জানান, ‘মন্দিরে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার চারজন স্বীকার করেছেন কালিমন্দিরে আগুন দেওয়া ঘটনা। এছাড়া ২২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে সাদুল্যাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কেশালীডাঙ্গা সার্বজনীন মন্দিরের মূর্তিও ভাঙচুর করে তারা। ভাঙচুর করার পরে প্রতিটি মন্দিরেই নব্য জেএমবি নামে হাতে লেখা চিঠি ফেলে আসে।’

তিনি আরও জানান, ‘গত ২২ সেপ্টেম্বর তারা আরও একটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু তার আগেই তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।’

ওসি বলেন, ‘প্রাথমকিভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব ঘটনায় কাদের খাঁনের নির্দেশেই হয়েছিল। মন্দিরে আগুন দেওয়ার ঘটনার তার ভাইয়ের ছেলে ফয়সাল গ্রেফতার হয়েছে। তাই ওসব হামলায় তার সংশ্লিষ্টার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরুও হয়েছে।’

৩১ ডিসেম্বর এমপি লিটন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহবাজ (মাস্টারপাড়া) গ্রামের নিজ বাড়িতে গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে ১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

এ মামলায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি কাদের খাঁনকে বগুড়ার গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।তার তথ্য মতো বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা একটি পিস্তল, ছয় রাউণ্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।

 /এসএনএইচ/এসটি/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
রোমাকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
ইউরোপা লিগরোমাকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী