রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ২৬ নভেম্বর। তবে, এখনও পাঁচটি উপজেলার সম্মেলন না হওয়ায় জেলা সম্মেলন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। এদিকে জেলার শীর্ষ নেতারা দাবি করেছেন, যথাসময়ে জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে রংপুর টাউন হলে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ও বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিউদ্দিন খান আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। শেষ পর্যন্ত কমিটি ঘোষণা না করেই তারা রংপুর ত্যাগ করেন। এরপর ২০১১ সালে ঢাকা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভাপতি ঘোষণা করা হয় প্রয়াত আবুল মনসুর আহাম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজুকে। আবুল মনসুর আহাম্মেদ মারা যাওয়ায় সহসভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহাম্মেদ ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। নেতা-কর্মীরা জানান, এখন পর্যন্ত বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলা ছাড়া বাকি ছয় উপজেলার সম্মেলন হয়নি। এরমধ্যে গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলেও কাউন্সিল হয়নি। ফলে নয়া কমিটি গঠন করা যায়নি।
এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন মওলা বলেন, ‘কাউন্সিলরদের তালিকা নিয়ে আপত্তি ওঠায় কাউন্সিল হয়নি। পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার প্রস্তুতি চলছে। তিনটি ইউনিয়নের সম্মেলন বাকি রয়েছে।’
পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন এখনও হয়নি। তবে শনিবার পীরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহাম্মেদ জানান, ‘আশা করা হচ্ছে, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সহযোগিতায় আগামী মাসের প্রথম দিকে সম্মেলন করা হবে। ’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু বলেন, ‘২৬ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। তার আগেই সব উপজেলার সম্মেলন হবে। কোনও উপজেলা সম্মেলন না হলে তার দায় তাদের। এ ব্যাপারে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে দল।’