X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

হিলি স্থলবন্দরে অক্টোবরে রাজস্ব আদায়ে সাড়ে চার কোটি টাকা ঘাটতি

হিলি প্রতিনিধি
০৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:২০আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৩০

হিলি স্থলবন্দর (ফাইল ছবি)

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে ১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে, যা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই স্থলবন্দরটির জন্য নির্ধারিত ১৬ কোটি ২৩ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা কম। এদিকে, অর্থবছরের গত চার মাসে এ বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৪৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ২৭১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা আহরণ করে। আগস্ট মাসে ১৭ কোটি ৩১ লাখ টাকার বিপরীতে ৯ কোটি ৩১ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বিপরীতে ১৪ কোটি ১৬ লাখ, অক্টোবর মাসে ১৬ কোটি ২৩ লাখ টাকার বিপরীতে ১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে। গত চার মাসে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৪৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। এতে গত চার মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা কম রাজস্ব আহরণ হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রবিউল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গুঁড়ো দুধ, কাগজ, সুতাসহ ৮টি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাকি সব পণ্যের আমদানি উন্মুক্ত রয়েছে। কিন্তু এ স্থলবন্দর দিয়ে খৈল, ভুসি, ভুট্টা, পাথরসহ আর তেমন কোনও পণ্য আমদানি হয় না। এর একমাত্র কারণ— হিলি কাস্টমসের ব্যবস্থাপনা। যেমন, যে পণ্য বেনাপোলসহ অন্য বন্দর দিয়ে আমদানি করে ৫ মার্কিন ডলার শুল্কায়নে ছাড় করা যায়, সে পণ্য হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি করলে ৮-১০ ডলার শুল্কায়ন দিয়ে ছাড় করাতে হয়। এ কারণে আমদানিকারকেরা এই বন্দর দিয়ে অধিক শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এটা রাজস্ব অহরণ কমার কারণ।

তবে এ ব্যাপারে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পণ্য রফতানি না করায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ১০ দিন পণ্য আমদানি বন্ধ ছিল। এ ছাড়া, সরকারি ছুটির কারণে আরও কয়েকদিন বন্ধ ছিল বন্দর। এতে গত মাসে ১৬ দিনের মতো বন্দরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। পাশপাশি বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া বেশিরভাগ পণ্যই কম শুল্কের হওয়ায় ও বেশি শুল্কযুক্ত পণ্যের আমদানি গতবছরের তুলনায় কমে যাওয়ায় কম পরিমাণে রাজস্ব আহরণ হয়েছে।

/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
রোমাকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
ইউরোপা লিগরোমাকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী