X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি, কুড়িগ্রামে বন্যার আশঙ্কা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
৩০ জুন ২০২১, ১৬:৪১আপডেট : ৩০ জুন ২০২১, ১৬:৪১

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু করেছে। উত্তরের সীমান্তবর্তী এই জেলাসহ উজানে ভারতের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকায় স্বল্পমেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে কিছুটা কমলেও ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সবকটি পয়েন্টে বাড়তে শুরু করেছে। সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বুধবার (৩০ জুন) সকাল ৬ পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ ভারী বৃষ্টিপাত চলমান থাকতে পারে।

এদিকে বন্যার আশঙ্কার পাশাপাশি জেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলায় তিস্তার ভাঙনে ভিটেমাটি হারাচ্ছে একের পর এক পরিবার। গ্রামীণ সড়ক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে তিস্তার গর্ভে। ভাঙন প্রতিরোধে পাউবো কর্তৃপক্ষ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবে খুব একটা কাজে আসছে না।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, জেলায় ২৫টি পয়েন্টে নদীভাঙন চলছে। এর মধ্যে দুই একটি পয়েন্ট বাদে বাকি অংশে তাদের ভাঙন প্রতিরোধমূলক কাজ চলছে।

পাউবোর কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে এই দুই নদ-নদী অববাহিকায় একটি স্বল্পমেয়াদি বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্যার পূর্বাভাসে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কোভিড ও বন্যা মোকাবিলায় প্রতি ইউনিয়নে প্রায় পৌনে চার লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা। এছাড়া উপজেলাগুলোতে দুর্যোগকালীন সহায়তা হিসেবে ৩৪৪ মেট্রিক টন চাল এবং প্রায় ৫৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলার বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে; যেন বন্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন বিভাগগুলো প্রস্তুত থাকে। বন্যাকবলিত মানুষকে উদ্ধার করে যেন আশ্রয়কেন্দ্রসহ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া যায়, সে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।’

‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পর্যাপ্ত চাল এবং টাকা বরাদ্দ দেওয়া আছে। আশা করি আগামী ১০-১৫ দিন কোনও সমস্যা হবে না’ যোগ করেন জেলা প্রশাসক।

/এএম/
সম্পর্কিত
বৃষ্টি ও বন্যার কী পূর্বাভাস পাওয়া গেলো?
ব্রাজিলে বৃষ্টি ও বন্যায় নিহত অন্তত ৩৯
কেনিয়ায় বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮১
সর্বশেষ খবর
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা