তাকে ‘অপহরণের পর হত্যা’ করা হয়েছে উল্লেখ করে দায়ের হয়েছিল মামলা। তবে কথিত ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ সেই ব্যক্তিকে নিখোঁজের ২০ মাস পর জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় পিবিআই।
সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধা জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার (এসপি) এ আর এম আলিফ জানান, জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ডোমেরহাট ইউনিয়নের সূবর্ণদহ এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নিজপাড়া গ্রামের ওয়াসিম জাহান তৌহিদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন পর ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হলে স্থানীয়দের চাপে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পরে যৌতুক দাবি করায় মেয়ে পক্ষ তা দিতে অস্বীকার করলে স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন ওয়াসিম।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ পারিবারিক আদালতে মামলা করলে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর আত্মগোপনে যান ওয়াসিম। এরপর তার বড় ভাই মানজুমুল হুদা নাহিদ বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ আদালতে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও পরিবারের সাতজনের বিরুদ্ধে ওয়াসিমকে অপহরণ করে হত্যা ও গুমের মামলা করে।
২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালত মামলার তদন্তভার পিবিআইকে হস্তান্তর করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পিবিআয়ের একটি দল গাজীপুর জেলার মোগরখাল এলাকার টিএনজেড নামের একটি কারখানা থেকে কথিত মৃত ওয়াসিমকে জীবিত উদ্ধার করে। ওয়াসিম দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছিলেন বলে জানায় পিবিআই।